মুক্তিযুদ্ধে শহীদ তিন অধ্যাপকের ‘প্রয়াণ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত
১৯৭১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হওয়া তিন অধ্যাপকের প্রয়াণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১২তম সিন্ডিকেট সভায় ৫৭নং প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শনিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষক শহীদ সুখরঞ্জন সমদ্দার, গণিত বিভাগের শিক্ষক শহীদ হবিবুর রহমান ও মনোবিজ্ঞান বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শহিদ মীর আব্দুল কাইয়ুমের প্রয়াণ দিবস স্ব-স্ব বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের নামের স্থাপনাগুলোতে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও স্থাপনাগুলোতে নিয়োজিতদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে-মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে ‘বিদায় পৃথিবী’ লিখে রাবি ছাত্রের আত্মহত্যা
এ বিষয়ে শহিদ মীর আব্দুল কাইয়ুমের কন্যা অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা প্রশংসার দাবিদার। আমরা অনেকদিন থেকে চাচ্ছিলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষকদের প্রয়াণ দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হোক। ৫১ বছর পর হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।
এই শহীদদের প্রয়াণ দিবস পালনের মাধ্যমে আমাদের তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও অবদানের কথা জানতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।
স্বাধীনতার ৫১ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম মুক্তিযুদ্ধকালীন রক্তপিপাসু পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে জীবন বিসর্জনকারী তিন শিক্ষকের প্রয়াণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো। যারা বিশ্বিদ্যালয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করে পাক-হানাদার মুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছিলেন। মূলত প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে এ দিবস পালনের দাবি অনেক আগে থেকেই করে আসছিলেন শহীদ পরিবার ও সংশ্লিষ্টরা।