১১ মার্চ ২০২২, ২২:৪৩

ঢাবি এ্যালামনাই মিলনমেলার উপহার নিয়ে অসন্তোষ

মিলনমেলার উপহার   © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে রবিবার (১২মার্চ )দিনব্যাপী ‘শতবর্ষের মিলনমেলা’ অনুষ্ঠিত হবে। তবে মিলনমেলার আগেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। অনুষ্ঠানের উপহার নিয়ে সদস্যদের মাঝে অসন্তোষ দেখা গেছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটিি এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের (ডুয়া) অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে Dhaka University Alumni Association (DUAA) পোস্ট, করে উপহার নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সদস্যরা।

ঐ গ্রুপে সাজ্জাদ আহমেদ নিপু পোস্ট করে বলেন, গিফটে পাওয়া দুইটা বই আর মাদককে না বলুন লেখা ব্যাগটা বিক্রি করতে চাচ্ছি। বিক্রি করে যদি রেজিস্ট্রেশন ফির টাকাটা কিছুটা হলেও তুলে নিতে পারি আরকি।

মো. ইসমাইল হোসাইন লিখেন, শতবর্ষ মিলনমেলায় মাদকবিরোধী ক্যাম্পেইনের মাত্রা দেখে মনে হচ্ছে এদেশে শুধু ঢাবির এ্যালামনাইরা-ই মাদক সেবন করে।

আরও পড়ুন: জাবিতে র‌্যাগ ডের ড্যান্স পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা

শহিদুজ্জামান সোহেল লিখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ মিলনমেলায় ঢাবি এ্যালামনাই এসোসিয়েশন থেকে একটাই বার্তা পেলাম মাদক কে না বলুন। উপহার সামগ্রীতে শুধু মাদককে নিয়ে পড়ে না থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য নিয়ে অনেক কিছুই রাখা যেতো বলে মনে করি। সব জায়গায় ধান্দা করতে নেই কিছু জায়গায় মান বজায় রাখা উচিত। তারপরও আয়োজক কমিটিকে একটা ধন্যবাদ দিতে চাই। একটা মিলনমেলার আয়োজন করার জন্য। দিন শেষে এই একটা জায়গায় তৃপ্তি পাই আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।

মো. আল আমিন লিখেন, অবাক লেগেছে উপহারের ব্যাগ নিতে গিয়ে! দুই ধরনের ব্যাগ ছিল স্যানিটাইজার নিলে মাক্স পাবেন না, আর মাক্স নিলে স্যানিটাইজার পাবেন না! কি অদ্ভুত!

তার পোস্টে কমন্ট করে নিগার মাহমুদা লিখেন, উপহার দেবার ধরন দেখে মনে হচ্ছে উপহার নয় যেন ত্রাণ দিচ্ছেন।

মাসুদুর রহমান বুলবুল লিখেন, গিফটের ব্যাগটা খুলে বুঝতে পারলাম, আপনাদের সাহস আছে জনাব!

অনুষ্ঠানের উপহার ব্লেজার নিয়ে রাকিব হাসানের করা একটা পোস্টে ফুয়াদ আল মুক্তাদি কমেন্ট করে লিখেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী ক্যাম্পাস বুয়েটে নিয়মিতই এ্যালামনাই অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু কোনো সমালোচনা হয়না। আমাদের টা শুরু হলেই ফেসবুকটা ডাস্টবিন হয়ে যায়। বুয়েট এ্যালামনাইয়ের দ্বায়িত্বশীলরা সৃজনশীল ও অত্যন্ত আধুনিক মননের মানুষ। অতিরিক্ত টাকা নেয়না আর স্পন্সরের মাধ্যমে ভালো উপহার ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণীয় দিন উপহার দেন।

তবে সবার সাথে তাল না মিলিয়ে উম্মে কুলসুম কলি লিখেন, গিফট খাবার নিয়ে বাজে চিন্তা না করে ঢাবি শতবর্ষ অ্যালামনাই আয়োজনের অংশ হতে পারার সৌভাগ্যকে খুশি মনে উপভোগ করুন।

এদিকে মিলনমেলাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই মিলনমেলার আয়োজন করেছে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (ডুয়া)’।

আরও পড়ুন: ‘হলে ২৪ ঘণ্টা কি হয়, এগুলো আমরা দেখব নাকি’

মিলনমেলার অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অ্যালামনাই ও অতিথিরা খেলার মাঠে প্রবেশ করবেন। সকাল ১০টায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ ও শোক প্রস্তাবের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে। ১০টা ৫০ মিনিটে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের মোড়ক উন্মোচন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ শিল্পীর ১০০ ছবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রপ্রদর্শনী উদ্বোধন করা হবে।

এরপর সম্মানিত অতিথিগণ বক্তব্য রাখবেন। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ‘বাংলাদেশের পদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ গুণীজনকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হবে। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন একক পরিবেশনা করবেন।