হীরালাল সেন পদক পেল ‘নোনা জলের কাব্য’
হীরালাল সেন পদক প্রদানের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নামলো। আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের সমাপনী পর্বে এই পদক ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি লাইলুন নাহার শেমী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের আজীবন সদস্য রোদেলা নিরুপমা ইসলাম, অভিনেত্রী দিলরুবা দোয়েল, পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত, পরিচালক হুমায়রা বিলকিস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিগত দুই বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে এবার হীরালাল সেন পদকের জন্য ‘নোনাজলের কাব্য’, ‘রাত জাগা ফুল’, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’, ‘চন্দ্রাবতী কথা’ এবং ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ মনোনীত ছিল। মনোনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে বিচারক পর্ষদ কর্তৃক নির্বাচিত রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত পরিচালিত ‘নোনাজলের কাব্য’ চলচ্চিত্রটি এ বছর হীরালাল সেন পদক লাভ করে। চলচ্চিত্রটির পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত পুরষ্কারটি গ্রহণ করে।
এছাড়া এ বছর অন্য বিভাগগুলোয় পুরষ্কার লাভ করে- শ্রেষ্ঠ কাহিনী: লাল মোরগের ঝুঁটি, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা: রেহানা মরিয়ম নূর, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণ: চন্দ্রাবতী কথা।
লাইলুন নাহার শেমী বলেন, ‘আমরা যখন চলচ্চিত্র আন্দোলন করতাম তখন দুটি কথা বলতাম। এক, চলচ্চিত্র নির্মাণ; দুই, দর্শক নির্মাণ। আজ এই আয়োজন দেখে আমার মনে হচ্ছে আমাদের আন্দোলন সফল।’
আরও পড়ুন: কিয়েভের রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে
নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সময়ে দর্শকদের সিনেমা হলে চলচ্চিত্র দেখার আয়োজনকে একটি উৎসব হিসেবে নিয়মিত উদযাপন করায় আমি আয়োজকদের সাধুবাদ জানাই।’
এবার চলচ্চিত্র উৎসব ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবে দুই বাংলার ১৯টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। উৎসবের ২০তম আসরে উৎসব প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন গণ্ডি, নোনা জলের কাব্য, রাত জাগা ফুল, ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’- সিনেমার কলাকুশলীবৃন্দ। চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য চলচ্চিত্র উপভোগের পাশাপাশি ছিল চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কলাকুশলীদের সাথে সরাসরি মতবিনিময়ের সুযোগ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব পালন করে থাকে। এ বছর চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি পুরনো দিনের বাংলা সিনেমার ফেস্টুন প্রদর্শনী, বাংলা চলচ্চিত্র বিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং চলচ্চিত্র নিয়ে মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। করোনা প্রকোপের কারণে এবারের আয়োজনে ছিল বিশেষ সতর্ক ব্যবস্থা।