সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জাবি ছাত্র শাফির নামে চত্বর উদ্বোধন
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হলের আবাসিক ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শাফির নামে হল সংলগ্ন স্থানে ‘শাফি চত্বর’ উদ্বোধন করা হয়েছে। শাফি লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আল বেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আশরাফুল আলম ও নিহত শাফির বোন উম্মে মাসুমা মৌসুমী এ চত্ত্বরের উদ্বোধন করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন, আল বেরুনী হল ছাত্রলীগের নেতা এনামুল হকসহ আল বেরুনী হলের প্রায় দেড়শত আবাসিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শাফির বন্ধুদের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় জাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
উদ্বোধনের সময় অধ্যাপক আশরাফুল আলম বলেন, সৃষ্টিকর্তার প্রিয়পাত্ররাই দ্রুত তার কাছে চলে যান। শাফি অত্যন্ত ভালো ছেলে ছিল। তাঁর চলে যাওয়া অনেক কষ্টের। আশাকরি তাঁর বিদেহী আত্মাও শান্তিতে থাকবে।
শাফির বড়বোন উম্মে মাসুমা বলেন, আমাদের একটিমাত্র ভাইকে আমরা হারিয়েছি। এ কষ্ট হয়তো কখনো ভুলতে পারবো না। কিন্তু আজকে শাফির নামে এই চত্বরের নামকরণ অনেক বড় পাওয়া। এটা অনেক বড় সম্মানের। শাফিকে আমরা সবাই যেমন সম্মান প্রদর্শন করছি, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন সবার কাছে সেজন্য দোয়া চাই।
আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, শাফি একদিকে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্র ছিল, তেমনি সে শাখা ছাত্রলীগের একজন কর্মীও ছিল। তাঁর মৃত্যু আমাদের জন্য অনেক বেদনার। তাঁকে স্মরণের জন্য এই উদ্যোগ। আমরা দোয়া করি শাফির পরলোকগত আত্মা শান্তি পাবে।
শাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের (৪৭তম ব্যাচের) শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সোনাপুরে।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তার মাকে আনতে বনপাড়া স্টেশনের উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয় শাফি। যাত্রাপথে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এ অবস্থায় গুরুতর আহত হলে তাকে নাটোর বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখান থেকে প্রথমে নাটোর মেডিকেল পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে গেলে আইসিইউতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। পরে ওইদিন দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান।