১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:২৬

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সাজানোর কাজ চলছে  © সংগৃহীত

"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি", "সালাম সালাম হাজার সালাম/সকল শহীদ স্মরণে/", "ভুলব না, ভুলব না, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না।"

এসব গানের কথা আজীবন বাংলা ভাষাভাষীদের সকলের বুকে ধারণের পাশাপাশি গানগুলো মাইকে বাজিয়ে দিনব্যাপী ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার সময় দেশের প্রতিটি শহীদ মিনারই প্রতিবছর সজ্জিত হয় রক্তিম সাজে।

এরই ধারাবাহিকতায়, আসন্ন একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারও সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। পুরো শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ সাজানো হচ্ছে শিল্পীর হরেকরকম আল্পনা দিয়ে। রঙ করা হচ্ছে দেয়াল ও গাছ-গাছালি। লাগানো হচ্ছে পুরো এলাকাজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা। জোরদার করা হচ্ছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব কাজ শেষ হবে এবং শহীদ মিনারের মন কাড়া সৌন্দর্য প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সকলের হৃদয় ছুঁয়ে দিবে এবং ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের এক আবেগ ও আবেদনময়ী পরিবেশ তৈরি করবে।

আরও পড়ুন: ২০২৪ সাল থেকে মাধ্যমিকে থাকছে না সাইন্স-আর্টস-কমার্স বিভাগ বিভাজন

১৯৫২ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিনটি জাতীয় শহিদ দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে এ দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস করার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ও এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে অবশেষে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। একইসাথে ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।

আরও পড়ুন: ‘সেকেন্ড টাইম’র দাবিতে চবিতে মানববন্ধন কাল

উল্লেখ্য, এবার দিবসটি পালনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ স্বাস্থবিধি পালনের প্রতি গুরত্বারোপ করা হয়েছে। তাছাড়াও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদযাপনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।