ঢাবির ‘ক’ ও ‘ঘ’ ইউনিটে মাইগ্রেশনের দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ও ‘ঘ’ ইউনিটে ফাঁকা আসনের বিপরীতে মাইগ্রেশনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে আগামী মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেবেন তারা।
স্মারকলিপি জমা দিতে চাওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘ক’ ও ‘ঘ’ ইউনিটে যথেষ্ট পরিমাণ আসন খালি আছে। এই আসনগুলো পূরণে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন সূত্র মারফত এই দুই ইউনিটে প্রায় দুই শতাধিক আসন খালি থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তা পূরণে অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ডাকা হচ্ছে না। এই অবস্থায় মাইগ্রেশনের দাবিতে স্মারকলিপি দেবেন তারা।
জারিন মৌমিতা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাবির ‘ক’ ইউনিটে ১ম দফায় ভর্তি শুরু হয় ৩০ ডিসেম্বর এবং শেষ হয় ৬ জানুয়ারি। ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অনেকে অন্যত্র চান্স পাওয়ায় ঢাবিতে ভর্তি বাতিল করে। যার ফলে ঢাবিতে অনেক সিট খালি হয়। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, এখনো খালি আসনের সংখ্যা ২০০ এর বেশি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ওই আসনগুলো পূরণে ওয়েটিং লিস্ট থেকে কল করছে না। যার ফলে আমরা যারা ওয়েটিং এ আছি এবং অন্যত্র কোথাও চান্স পাইনি তাদের জন্য বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই আসনগুলো পূরণের দাবি তাদের।
আরও পড়ুন: ঢাবির এসএম হলে রবিনের গায়ে হলুদ, পাত্রী রোকেয়া হলের
রাকিবুল রিফাত নামে আরেক শিক্ষার্থী জানান, গত ২২ জানুয়ারি ‘ডি’ ইউনিটে ২য় কলের মাধ্যমে সিট ফিলাপ করা হয়। ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে ভর্তি বাতিল করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয়েছে খালি আসন গুলো খালি রাখবে যা অযৌক্তিক। আবার ‘ডি’ ইউনিটে কমার্সের লাস্ট মেরিট ছিলো ১২০০ পর্যন্ত, তার মধ্য মুক্তিযোদ্ধার কোটার কিছু আসন খালি আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ডি’ ইউনিটে কমার্স এর কোটার ভাইবা ছিলো ১১ তারিখ। যারা ‘সি’ ইউনিটে সাবজেক্ট পেয়েছে, তারা ‘সি’ ইউনিটে চলে গেছে। ফলে সেখানেও আসন ফাঁকা হয়েছে। ‘ডি’ ইউনিটের কমার্সের মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ বেশ কিছু আসন খালি আছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলছে যে সিট খালি নেই। আমাদের কাছে প্রমান ও আছে যে সিট খালি আছে। এই অবস্থায় ফাঁকা আসনগুলো পূরণের দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ছাত্রী ধর্ষণের দায়ে শিক্ষকের যাবজ্জীবন
রোনক জাহান নাফিসা নামে আরেক শিক্ষার্থী জানান, ঢাবির ‘ক’ ও ‘ঘ’ ইউনিটে অনেক আসন ফাঁকা রয়েছে। কিন্তু সেই ফাঁকা আসনে কোনো ছাত্রছাত্রী ভর্তি করানো হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ বলছেন ফাঁকা আসন ফাঁকাই থাকবে। কিন্তু অন্যান্য ইউনিটে ওয়েটিং থেকে ছাত্রছাত্রীদের কল করে ফাঁকা আসন পূরণ করা হয়েছে। এই অবস্থায় দ্রুত আসনগুলো পূরণের দাবি জানাচ্ছি। না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।