০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:০৪

রাবি উদীচীর সভাপতি গোলাম সারওয়ার, সম্পাদক নিতু

রাবি উদীচীর সভাপতি গোলাম সারওয়ার, সম্পাদক নিতু  © টিডিসি ফটো

ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম সারওয়ারকে সভাপতি ও ইশরাত জাহান নিতুকে সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারী) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়াতে সংগঠনের ১৯তম সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এসময় কেন্দ্রীয় উদীচী সহ সাধারণ সম্পাদক অমিত রন্জন দে, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আরিফ নুর, রাজশাহী জেলা উদীচীর সভাপতি জুলফিকার আহমেদ গোলাপ, কেন্দ্রীয় সদস্য কাজী মারুফা, রাজশাহী খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক কাজলসহ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

কমিটির অন্যান্য পদে রয়েছেন, সহ-সভাপতি ড. এস এম জাহিদ হোসেন, ড. শাতিন সিরাজ, হাফিজুর রহমান রবিন, কোষাধ্যক্ষ নবনীতা রায়, সহসাধারণ সম্পাদক সৌরভ কুমার সূত্রধর। সম্পাদক মন্ডলীতে রয়েছেন সাজেদুল ইসলাম, হদিউল ইসলাম, কে এস কে হৃদয়, আরিফুল ইসলাম, শাহিন আলম। এছাড়া সদস্য পদে রয়েছেন রায়হান ইসলাম, তর্পনা দে, আকিব ও রাজা মিয়া।

কমিটির সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান রবিন নতুন কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, করোনার দীর্ঘ সমস্যা কাটিয়ে আবার সংগঠনে গতি ফিরে এসেছে। নতুন কমিটির মাধ্যমে পূর্বের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে নব উদ্যমে এগিয়ে যাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উদীচী এমনই প্রত্যাশা। নবগঠিত কমিটির সকলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইশরাত জাহান নিতু বলেন, উদীচী রাবি শাখার নতুন কমিটির সকলকে অভিনন্দন। সকলের মেধা, শ্রম ও কর্মপ্রচেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সর্বদা অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরোদ্ধে উদীচী রাবি শাখা সংগ্রাম চালিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হওয়ার আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের

এর আগে, সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাক চাপায় নির্মমভাবে নিহত চারুকলা অনুষদে শিক্ষার্থী হিমেলের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক স্বরণসভার আয়োজন করা হয়। সভা শেষে এ শিক্ষার্থীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে একটি মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক সংগঠন। ১৯৬৮ সালে বিপ্লবী কথাশিল্পী সত্যেন সেনের হাত ধরে যাত্র শুরু করে এ সংগঠন। পরবর্তীতে রণেশ দাশগুপ্ত,  শহীদুল্লাহ কায়সারসহ একঝাঁক তরুণ উদীচীর সাথে সম্পৃক্ত হন। জন্মলগ্ন থেকে উদীচী অধিকার, স্বাধীনতা ও সাম্যের সমাজ নির্মাণের সংগ্রাম করে আসছে। ফলে ’৬৮, ’৬৯, ’৭০, ’৭১ সালে বাঙালির সার্বিক মুক্তির চেতনাকে ধারণ করে উদীচী গড়ে তোলে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম। যা পরবর্তীতে গ্রাম-বাংলার পথে-ঘাটে ছড়িয়ে পড়ে।

১৯৭১ সালে উদীচীর কর্মীরা প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। দেশের সকল গণতান্ত্রিক, মৌলবাদ বিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে এ সংগঠন বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে। বর্তমানে সারাদেশে উদীচীর তিন শতাধিক শাখা রয়েছে। দেশের বাইরেও সংগঠনটির ছয়টি দেশে শাখা রয়েছে । ২০১৩ সালে এই সংঠনটি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক লাভ করে।