সীমিত পরিসরে চলছে সরস্বতী পূজা অর্চনা
গত বছরের মত এ বছরও সীমিত পরিসরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। হলের কেন্দ্রীয় উপাসনালয়েই পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যান্যবারের ন্যায় এবারের পূজায় বেশি একটা আমেজ লক্ষ্য করা যায়নি। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি ) সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে অঞ্জলি দেয়ার মধ্য দিয়ে পূজার কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল হতে পারে ১২ ফেব্রুয়ারি
জগন্নাথ হলের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল, ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, কুয়েত মৈত্রী হল, শামসুন্নাহার হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলেও চলছে পূজা অর্চনা। পূজা উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের মানুষজন পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করছেন। সেই সঙ্গে প্রসাদ গ্রহণ করছেন পূণ্যার্থীরা।
পূজামণ্ডপ ঘুরতে আসা দর্শনার্থী দেবদাস জানান, পরিবারের সবাই মিলে এসেছি। জগন্নাথ হলের পূজা অন্যান্য জায়গা থেকে একদম অন্যরকম লাগে। প্রতিবারই এখানে আসি। ভাল লাগছে।
আরেক দর্শনার্থী রুদ্র প্রসাদ রায় জানান, এবারের পূজায় বেশি একটা ভাল লাগছে না। কারণ বিগত বছরের ন্যায় এবারের পূজায় আমেজ নেই। করোনার আগে খুব জাঁকজমকপূর্ণভাবে পূজা উদযাপিত হতো। তারপরও বলবো একটুতো ভাল লাগছেই।
আরও পড়ুন: ঢাবি-রাবিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সমান, শিক্ষক অনুপাতে পিছিয়ে রাবি
প্রিতম সাহা পুরনো আমেজে পূজা উদযাপনের আশা ব্যক্ত করে বলেন, জগন্নাথ হলের পুরোনো আমেজে সেই পূজা না হলেও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে মুখে মাস্ক গুঁজে স্বাস্থ্য বিধি মেনে এক সঙ্গে দেবী দর্শন করতে পেরেছি। এতেই অনেক আনন্দ পাচ্ছি ; হয়তো সামনের বছরগুলোতে পুরনো আমেজে পূজা উদযাপন করতে পারব।
সবাইকে সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, পূজা উদযাপন খুব ভালো চলছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা অর্চনা করছেন। করোনার কারণে আমরা শুধু একটাই কেন্দ্র করেছি।এর আগে অনেক কেন্দ্র ছিল। এরপরও সবাই খুব উৎফুল্লতা নিয়ে পূজোতে আসছেন।