৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:৩৪

চবির নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি

চবির নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি  © ফাইল ছবি

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভর্তি কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে। প্রকাশিত হয়েছে দ্বিতীয় মাইগ্রেশন এবং তৃতীয় মেধা তালিকা। ধারাবাহিকভাবে ভর্তি কার্যক্রমের বাকি প্রক্রিয়াও শেষ হবে।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মনিরুল হাসান বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে সবগুলো বিভাগের ক্লাস শুরু হবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী থেকে। এখন পর্যন্ত তৃতীয় কল করা হয়েছে। নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর পূর্বে ভর্তি সব কার্যক্রম শেষ করা হবে।

আরও পড়ুন: বাংলা একাডেমি পুরষ্কার পেলেন চবির সাবেক তিন শিক্ষার্থী

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এবার ‘এ’ ইউনিটে পাস করেছে ২০ হাজার ৩৮৬ জন। যেখানে আসন রয়েছে ১ হাজার ২১২টি। ‘এ’ ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলোর মধ্যে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগে রয়েছে ১১০টি করে আসন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০০টি করে আসন রয়েছে প্রাণিবিদ্যা ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে।

এছাড়া কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে ৬৫টি, ইইই বিভাগে ৫৫টি ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে আসন রয়েছে ৫০টি। ৪০টি করে আসন রয়েছে প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ, মাইক্রোবায়োলজি, ফরেস্ট্রি, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা, ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস, ওশানোগ্রফী ও ফিশারিজ বিভাগে।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি এবং পরিবেশবিজ্ঞানে রয়েছে ৩৫টি করে আসন। ৩০টি করে আসন রয়েছে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল এবং ফার্মেসি বিভাগে। আর মনোবিজ্ঞান বিভাগে আসন রয়েছে ২২টি।

আরও পড়ুন: বিসিএসের প্রিলি দিয়েই চবি ভর্তি পরীক্ষায় বসলেন মাসুদ!

‘বি’ ইউনিটে পাশ করেছেন ৮ হাজার ৫৩৭ জন ভর্তিচ্ছু। এই ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি আসন রয়েছে। ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলোর মধ্যে দর্শন, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে রয়েছে ১২০টি করে আসন। ১১০টি করে আসন রয়েছে বাংলা ও ইংরেজি বিভাগে। ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে (আইইআর) রয়েছে ১০৫টি আসন।

এছাড়া পালি বিভাগে ৮৫টি, সংস্কৃত বিভাগে রয়েছে ৭০টি আসন। ৫০টি করে আসন রয়েছে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য এবং বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগে। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে রয়েছে ৪১টি আসন। এর বাইরে ‘বি-১’ উপ-ইউনিটে নাট্যকলা ৩৫টি, সংগীতে ৩০টি ও চারুকলায় ৬০টি আসন রয়েছে।

‘সি’ ইউনিটে পাস করেছেন ৫ হাজার ২৬১ জন। যেখানে আসন রয়েছে ৪৪১টি। ‘সি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলোর মধ্যে অ্যাকাউন্টিংয়ে ৮৭টি, ম্যানেজমেন্টে ৬৫টি, ফাইন্যান্সে ৯৫টি, মার্কেটিংয়ে ৭৭টি, ব্যাংকি অ্যান্ড ইনস্যুরেন্সে ৬৭টি এবং হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে ৫০টি আসন রয়েছে।

‘ডি’ ইউনিটে পাস করেছে ১০ হাজার ৩০১ শিক্ষার্থী এবং এখানে ১ হাজার ১৬০টি আসন রয়েছে। ‘ডি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলোর মধ্যে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সব বিভাগ, আইন অনুষদের আইন বিভাগ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত সব বিভাগ (উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান/মানবিক শাখা) এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগ (উচ্চ মাধ্যমিকে মানবিক শাখা)।

আরও পড়ুন: নিজেদের তৈরি সফটওয়্যারে চবি ভর্তি কার্যক্রম

এই বিভাগগুলোতে আসন সংখ্যা মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া আছে। বিভাগভিত্তিক আসন সংখ্যা এরকম—

অর্থনীতি (মানবিক ৪০টি, বিজ্ঞান ৬৬টি ও ব্যবসায় ২৬টি মিলিয়ে ১৩২টি), রাজনীতি বিজ্ঞান (মানবিক ৫৩টি, বিজ্ঞান ৫৩টি ও ব্যবসায় ২৬টি মিলিয়ে ১৩২টি), সমাজতত্ত্ব (মানবিক ৫৩টি, বিজ্ঞান ৫৩টি ও ব্যবসায় ২৬টি মিলিয়ে ১৩২টি), লোকপ্রশাসন (মানবিক ৫৩টি, বিজ্ঞান ৫৩টি ও ব্যবসায় ২৬টি মিলিয়ে ১৩২টি)।

এছাড়া নৃবিজ্ঞান (মানবিক ৩৪টি, বিজ্ঞান ৩৪টি ও ব্যবসায় ১৭টি মিলিয়ে ৮৫টি), আন্তর্জাতিক সস্পর্ক (মানবিক ৩৪টি, বিজ্ঞান ৩৪টি ও ব্যবসায় ১৭টি মিলিয়ে ৮৫টি), যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা (মানবিক ২৪টি, বিজ্ঞান ২৪টি ও ব্যবসায় ১২টি মিলিয়ে ৬০টি), ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (মানবিক ১২টি, বিজ্ঞান ১২টি ও ব্যবসায় ৬টি মিলিয়ে ৩০টি), ক্রিমিনোলজি ও পুলিশ সায়েন্স (মানবিক ১২টি, বিজ্ঞান ১২টি ও ব্যবসায় ৬টি মিলিয়ে মোট ৩০টি আসন)।

এই ইউনিটে আইন বিভাগের ১১৫টি আসন সবার জন্য উন্মুক্ত। বাকি বিভাগগুলোর মধ্যে অ্যাকাউন্টিংয়ে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ২০টি ও মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি, ম্যানেজমেন্টে বিজ্ঞান শাখার জন্য ৪০টি ও মানবিক শাখার জন্য পাঁচটি, ফাইন্যান্সে বিজ্ঞান শাখার জন্য ১০টি ও মানবিক শাখার জন্য পাঁচটি, মার্কেটিংয়ে বিজ্ঞান শাখার জন্য ৩০টি ও মানবিক শাখার জন্য তিনটি, ব্যাংকি অ্যন্ড ইনস্যুরেন্সে বিজ্ঞান শাখার জন্য ৩০টি ও মানবিক শাখার জন্য তিনটি, হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪৭টি ও মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি আসন রয়েছে।

এর বাইরে মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যায় ১০টি ও মনোবিজ্ঞানে ১৮টি আসন রয়েছে।

এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মিত (মানোন্নয়ন দেওয়া) শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ ছিল না। যারা ২০১৮ সালে মাধ্যমিক ও ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, কেবল তারাই এবার ভর্তি পরীক্ষার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮টি বিভাগ ও ছয়টি ইনস্টিটিউটে মোট ৪ হাজার ৯২৬টি সাধারণ আসন রয়েছে। এরমধ্যে ‘বি-১’ উপ-ইউনিটে ১২৫টি ও ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটে ৩০টি আসন রয়েছে।