জাবিতে গ্রন্থাগারের বই বিক্রি করে দিলেন সহকারী সুপার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ফজিলাতুন্নেসা হলের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট ফাতেমা বেগম কোনো অফিস আদেশ ছাড়াই হল গ্রন্থাগারের বই বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গেল শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে হলের মূল ফটকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন পানধোয়া এলাকার জনৈক ব্যবসায়ীর কাছে বই বিক্রি করেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে, ফাতেমা বেগমের দাবি “পরিত্যক্ত” ভেবে তিনি বইগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যের ৫শ কেজি বই বিক্রি করে দিলেন দপ্তরি, আটক
হলের নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর তপন চন্দ্র সরকার বলেন, ফাতেমা বেগম আমাকে বই বিক্রির ১ হাজার ১৫০ টাকা দিতে আসেন। তখন আমি জানতে পারি প্রাধ্যক্ষ স্যারের অনুমতি ছাড়াই তিনি হলের গ্রন্থাগারের বই বিক্রি করেছেন। তাই আমি টাকা গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করি।
ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রহরী মো. রাসেল হোসেন বলেন, আমি ভেতরে গিয়ে দেখি হলের দু’জন সিক গার্ল (শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হলে দেখ ভাল করে) বস্তা ভরে গ্রন্থাগারের বই বের করছেন। তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন ফাতেমা বেগম তাদেরকে বই বের করতে বলেছেন। পরে ফাতেমা বেগম নিজে উপস্থিত থেকে হলের গ্রন্থাগারের বই বিক্রি করে দেন।
অভিযুক্ত সহকারী হল সুপারিনটেনডেন্ট ফাতেমা বেগম বলেন, ১৫ বছর ধরে ডাইনিংরুমে বইগুলো পড়ে ছিল। উইপোকা ধরে একটা পর্যায়ে আলমারিসহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। ডাইনিংরুমে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের থাকার জায়গা না হওয়ায় আমি প্রাধ্যক্ষ স্যারের অনুমতি নিয়ে আলমারির তালা ভেঙে বইগুলো বের করি। ভেতরে কী ধরনের বই ছিল তা আমি জানতে পারিনি। পরিত্যক্ত ভেবেই আমি সেগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রয়োজনীয় বই হলে আমি কখনোই তা বিক্রি করতাম না।
আরও পড়ুন: ওবামার বই বিক্রি এক মাসে ৩৩ লাখ ছাড়াল
হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি আমি পরে জানতে পেরেছি। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। হলের বই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ। এভাবে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ বিক্রি করে দিতে পারে না। কোনো অফিস আদেশ ছাড়াই হলের মূল্যবান বই বিক্রি করে তিনি অপরাধ করেছেন। দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।