রাবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় দিবসটি উপলক্ষে তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন দেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
১০ জানুয়ারি বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন আখ্যা দিয়ে সেলিনা হোসেন বলেন, এটা বাঙ্গালির এক ঐতিহাসিক দিন। কেননা, এদিনে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় পূর্ণতা পায়।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের এ ঐতিহাসিক ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে অবিচ্ছেদ্য হয়ে আছে। কোন কিছুই এ সত্যকে মুছে ফেলতে পারবে না।
তিনি বলেন, সাময়িকভাবে ইতিহাসের এ সত্যকে ঢেকে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল কিন্তু ইতিহাসে সত্য তার নিজ গুণেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটাই ইতিহাসের বড় শিক্ষা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঐতিহাসিক ঘটনা পুনরাবৃত্তির মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারবে বঙ্গবন্ধুর জীবন, আদর্শ, রাজনীতি ও রাজনৈতিক দর্শন। বাংলাদেশকে একটি সত্যিকার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ও দর্শন জানাটা খুবই জরুরি বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। বিশেষ সম্মানিত অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক প্রফেসর সনৎ কুমার সাহা ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নূর ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলীসহ অনুষদ অধিকর্তা, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় সভাপতি, হল প্রাধ্যক্ষসহ বিশিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।