ঢাবির ডিনস কমিটির সভায় দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়নি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডিনস কমিটির সভায় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে পুনর্নির্ধারিত আসন সংখ্যা অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগের দাবিতে সরব শিক্ষার্থীরা, যা ভাবছে কর্তৃপক্ষ
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ডিনস কমিটির সভায় বিভিন্ন বিসয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি অনেক আগেই সমাধান হয়ে যাওয়ায় নতুন করে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এমনকি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি দেয়া কিংবা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের বিষয়েও বৈঠকে কোনো কথা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বৈঠকে উপস্থিত কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন দ্যা ডেইল ক্যাম্পাসকে বলেন, আজকের বৈঠকে পুনর্নির্ধারিত আসনে ২০২১-২২ সেশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া কিছু অভ্যন্তরীন বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ বৃহস্পতিবার
ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার ইস্যুটি ‘সেটেলড ইস্যু’। এ বিষয়ে আলোচনার কিছু নেই।
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দাবিতে শাহবাগে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। তার আগে রাষ্ট্রপতি, শিক্ষামন্ত্রী, ঢাবি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: স্থায়ী অধ্যাপক নেই চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রাখলে অনেক মেধাবী ছাত্র ঢাবিতে পড়ার সুযোগ পাবেন না- এ ধারণা থেকে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে। পরে ঢাবির এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিচ্ছুরা তখন আন্দোলন করেছিলেন। এছাড়া এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক আদালতে রিটও করেছিলেন।