আত্মহত্যার আগে ৬ পৃষ্ঠার চিরকুটে যা লিখে গেলেন চবি ছাত্র
ছয় পাতার চিরকুট লিখে সিলিংয়ের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন অনিক চাকমা নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থী। আজ সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের বিপরীতে এস আলম কটেজের ২১২ নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: এক বছরে ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
আত্মহননের পথ বেঁচে নেওয়া অনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি রাঙামাটি জেলার সদর উপজেলায়।
চবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শহীদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে সেখানে আমরা গিয়ে ভেতর থেকে দরজা-জানালা আটকানো দেখি। জানালার ফাঁক দিয়ে দেখা যায়, তিনি কক্ষের সিলিং ফ্যানে ঝুলছেন। পরে চবি মেডিকেলের প্রধান চিকিৎসক ডা. আবু তৈয়বের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, অনিকের টেবিলে কয়েক পৃষ্ঠার নোট পাওয়া গেছে। চিরকুটে দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন— এমন কিছু লেখা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
চবির পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কবির হোসেন বলেন, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আত্মহত্যা কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
অনিকের সহপাঠীরা জানান, অন্যান্য দিনের মতো গতকাল রাতেও সে সবার সাথে কথা বলেছে। সকালে দশটা পর্যন্ত সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। পরবর্তীতে প্রক্টর অফিসে খবর দিলে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
আত্মহত্যার জন্য কাউকে দায়ী না করে চিরকুটে তিনি লিখেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেসড, বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত ছিলাম আবার কারও কাছে মিথ্যাও বলতে পারতাম না। নিজেকে অপরাধী মনে হয়। সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।’
৬ পৃষ্ঠার চিরকুটে যা লিখে গেলেন অনিক চাকমা