০২ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:২১

ট্রেনে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন ঢাবি ছাত্র

ওই ছাত্রের শারীরিক অবস্থা এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়  © টিডিসি ফটো

ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসার পথে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে টাকা ও মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খোয়া গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর। বর্তমানে তিনি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বিশ্রামে রয়েছেন। তবে তার শারীরিক অবস্থা এখনও আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানান চিকিৎসকরা।

অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. আব্বাস উদ্দিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

জানা যায়, আব্বাসের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায়। গত শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে তিনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসার জন্য মেইল ট্রেনে উঠেন। তখন তিনি একটু দেরিতে ওই ট্রেনে উঠে দেখেন সেখানে আর সিট খালি নেই। এসময় মধ্যবয়সী এক লোক এসে তাকে বলেন, তার পাশে সিট খালি আছে। পরে আব্বাস তার সাথে গিয়ে বসেন এবং ওই লোকের সাথে পরিচয় হলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপচারিতা শুরু করেন। পরে এক পর্যায়ে ওই লোক আব্বাসকে একটি চানাচুরের প্যাকেট আনতে বললে তিনি চানাচুর এনে ঘুমিয়ে পড়েন। এই সুযোগে ওই লোক চানাচুরে চেতনানাশক মিশিয়ে পরে আব্বাস ঘুম থেকে উঠলে সেই চানাচুর তাকে খাওয়ায়। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই আব্বাস অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওই লোকটি তার মোবাইল, মানিব্যাগ ও জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে ট্রেন কমলাপুর রেলওয়ে রেলস্টেশনে আসলে অন্য বগির লুৎফর রহমান নামে আব্বাসের এক বন্ধু দেখেন যে তিনি জ্ঞানহীন অবস্থায় সিটে পড়ে আছেন। তারপর সেখানে উপস্থিত কয়েকজনের সহযোগিতায় আব্বাসকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের পর তার জ্ঞান ফিরে। বর্তমানে তিনি হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে আছেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করছেন। তার শারীরিক অবস্থা এখনও আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানান চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে আব্বাস দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমার মত এরকম ঘটনার স্বীকার যেন আর কেউ না হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে ট্রেন কর্তৃপক্ষকে প্রতিটি বগিতে পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

“আমার অনেক টাকার ক্ষতি হয়ে গেল। আমি স্টুডেন্ট মানুষ, নিজেই চলতে হয় কত কষ্ট করে, এখন আমি একটা স্মার্ট ফোন কিনব কিভাবে? আমার এনআইডি কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগের স্মার্ট কার্ড, হলকার্ডসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও ৫ হাজার টাকা ছিল মানিব্যাগে।”