ফিরে দেখা-২১: ঘটনা বহুল রাবির এক অধ্যায়
‘সময় ও স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না, তেমনি নতুনকে আলিঙ্গন করাই প্রকৃতির নিয়ম’- চিরন্তন এই সত্যগুলো লালন করে দেখতে দেখতেই কেটে গেল আরো একটি বছর। তাই পুরোনো বছরের ব্যর্থতা ভুলে মানুষ নতুন যাত্রার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। যখন পুরোনো দিনের হিসাব চুকিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত হয়েছে মানুষ। পৃথিবীর মাঝে আবার রচিত হবে নতুন এক অধ্যায়। যা কিছু কল্যাণকর, তা দিয়ে পৃথিবী হয়ে উঠবে সুখময় এমন প্রত্যাশা সবার।
তবে সময়ের পরিক্রমায় সৃষ্টি হয় নানা ঘটনার ঘনঘটা। যে ঘটনা কাউকে করেছে আনন্দে উদ্ভাসিত, কাউকে করেছে ব্যথিত। দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও সেই ধারাবাহিকতার বাহিরে ছিল না। বছর জুড়ে এমন অনেক ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু উঠে এসেছে মতিহারের এই সবুজ চত্বর। আজকে সেইসব ঘটনা নিয়ে সাজানো হয়েছে সালতামামী-২০২১।
রাবি উপাচার্য সোবহান ও নিয়োগ বৃত্তান্তের ইতিকথা
বছরের শুরুতেই নিয়োগ বৃত্তান্ত নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার তুঙ্গে ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান। যা বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। নিয়োগ নীতিমালা শিথিল করে নিয়োগ প্রদান, দুর্নীতি বিরোধী প্রগতিশীল শিক্ষ সমাজের প্রতিবাদ ও কর্মসূচি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক নিয়োগ স্থগিত, অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের আন্দোলন, উপাচার্যকে অবরোধসহ প্রশাসনিক ভবনে তালা। এমন অনেক ঘটনায় দেশজুড়ে সরব হয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের মেয়াদের শেষ দিনে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরই মাঝে ১২৫ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে পুলিশি পাহারায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তিনি। বিদায় কালে উপাচার্যকে প্রশাসন কিংবা শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায় নি। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। মঞ্জুরী কমিশনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সাবেক এই উপাচার্যের বেশকিছু দুর্নীতি প্রমাণ পাওয়ায় তার বিদেশ যাওয়াসহ বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেই তদন্ত প্রক্রিয়া এখন চলমান। তবে এই নিয়োগ মানবিক কারণে দিয়েছেন বলে জানান এম আব্দুস সোবহান।
ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে উত্তাল ‘প্যারিস রোড’
করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় ঘরবন্দী জীবনযাপনে বাধ্য হয় শিক্ষার্থীরা। একের পর এক লকডাউন ও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় উত্তরোত্তর এ ছুটি বৃদ্ধি পায়৷ তবে অন্যন্য বিষয়ে লকডাউনে প্রভাব শিথিলযোগ্য হলেও বন্ধই ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালা। ফলে একদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একাকিত্ব ও বিরক্তি যেমন বাড়ছিল, তেমনি শিক্ষাজীবন শেষে চাকরিতে প্রবেশ করতে না পারায় হতাশায় ভুগতে থাকেন তারা। শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় বিভিন্ন মহল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা উঠলেও তা কার্যকর না হওয়ায় এক পর্যায়ে বন্ধ ক্যাম্পাসেই আন্দোলনের ডাক দেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে মিছিল-মিটিং, বিক্ষোভ-সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি করতে শুরু করেন তারা। ফলে ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন সংগ্রামের উল্লেখযোগ্য পথ প্যারিস রোড।
করোনায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য
করোনায় দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় হয়েছে৷ ঘরবন্দী জীবনযাপন, পারিবারিক টানাপোড়েন, প্রিয়জন হারানোর বেদনা, অর্থনৈতিক সংকট, ছাত্রত্ব শেষ না হওয়ায় হতাশা, ব্যাপক ইন্টারনেট আসক্তি ও প্রেম ঘটিত জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থীরা মাসনিক ভাবে বিকারগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তথ্য মতে, বিগত তিন বছরের তুলনায় করোনাকালে মানসিক সমস্যায় ভোগা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ। যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কেননা, করোনা মহামারির আগে দিনে সর্বোচ্চ দুইজন শিক্ষার্থী আসলেও বর্তমানে দিনে ১০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী আসছে। যাদের মধ্যে ৪৮% পুরুষ ও ৫২% নারী শিক্ষার্থী।
অনলাইন ক্লাসে ব্যতিক্রম অভিজ্ঞতা
করোনায় শিক্ষা কার্যক্রমে এক নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তার মধ্যে অন্যতম এক অভিজ্ঞতা অনলাইন ক্লাস। সুফলাতার দিক বিবেচনা করে এর গুরুত্ব অনেক। কেননা, করোনার দীর্ঘ ছুটিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থানে থেকেও অনলাইনে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ক্লাস করার সুযোগ লাভ করেছেন। ফলে অনেকটা অন্যরকম হলেও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পথ সৃষ্টি করেছিল এই অনলাইন ক্লাস। তবে সকল শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় ডিভাইস, প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, ডেটার অধিক মূল্য ও নানান সমস্যার মাঝে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করার মনোযোগের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে কার্যকরী রূপ নিতে পারেনি অনলাইন ক্লাস।
রাবিতে ক্যাম্পাস খোলার নীবর দাবিতে সরব দেশ
ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন, অনলাইন ক্লাসের কার্যকরীতার অভাব ও শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা বিভিন্ন মহল থেকে বলার পরেও তা কার্যকর না হলে একপর্যায়ে গাছতলায় প্রতীকী ক্লাস নিয়ে নীরব প্রতিবাদ জানান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক। এতে নেট জগতে ব্যাপক সাড়া পড়ার পাশি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ভাবে ক্যাম্পাস খোলার দাবি জোড়ালো হতে শুরু হয়।
রাবিতে নতুন উপাচার্য নিয়োগ
অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের জন্য বহুল আলোচিত-সমালোচিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান। এবছর ৬ মে তার মেয়াদ শেষ হলে রুটিন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা। গত ১৬ জুলাই তার উপ-উপাচার্যের মেয়াদ শেষ করার মধ্য দিয়ে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালনও শেষ হয়।
গত ১৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম। পরে ১৭ জুলাই দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এরপর উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা। মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মাধ্যমে তদবির করতে থাকেন প্রভাবশালী শিক্ষকগণ। অবশেষে ২৯ আগস্ট সকল নাটকের অবসান ঘটিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। ফলে ২৪ তম উপাচার্য পায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ব তালিকায় রাবির গবেষক অধ্যাপক নকীব
গবেষণা কার্যক্রমে বরাবরই সেরাদের তালিকায় থাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। এবছর গবেষণা কার্যে বিশ্ব সেরাদের তালিকায় ছিলেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ আহমেদ নকীব। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম অধ্যাপক হিসেবে ‘দ্যা ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্স’ (টোয়াস) এর সদস্যপদ পেয়েছেন তিনি। এবছর তার এমন সম্মাননা বিশ্বিবদ্যালয় পরিবারকে গর্বিত করেছে।
এছাড়া বছরের শুরুতে স্কোপাস তালিকাভুক্ত সাময়িকীগুলোতে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে ২০২০ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সেরা গবেষক হন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক। গত বছর স্কোপাস ইনডেক্সড সাময়িকীগুলোতে অধ্যাপক নকীবের প্রকাশিত নিবন্ধের সংখ্যা ছিল ২০টি।
কমিটির দাবিতে সরব ছাত্রলীগ
একবছরের কমিটি দিয়ে পাঁচ বছর চলছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। ফলে বিবাহিত ও অছাত্রদের নেতৃত্ব চলা এই ছাত্রসংগঠনের নড়বড়ে অবস্থা বিরাজ করেছে ক্যাম্পাসে। তবে করোনার দীর্ঘ ছুটি শেষে ক্যাম্পাস খোলার পর নতুন কমিটির দাবিতে সরব হয়েছে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। ফলে হল সম্মেলনসহ দ্রুত নতুন কমিটি দেয়ার দাবিতে মিছিল-মিটিংসহ অন্যন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। কেননা, ক্যাম্পাস রাজনীতির সময় শেষ হলেও কোন দলীয় পরিচয় পাচ্ছে না পদপ্রত্যাশীরা। এদিকে নতুন কমিটির বিষয়ে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ফলে পদপ্রত্যাশীদের অভিযোগ বর্তমান নেতারা কমিটি দেয়ার নামে বরাবরই মুলো ঝুলিয়ে চলেছেন।
পুরোনো নোটিশ নতুন করে প্রচার করে ভাইরাল প্রক্টর
বছররের শেষে নতুন শিক্ষার্থীদের আগমনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের নিয়ম-শৃঙ্খলা সংবলিত আগের নোটিশ পুনরায় প্রচার করে ভাইরাল হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লিয়াকত আলী।
বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ১৭টি নিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়। যার মধ্যে ছিল কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও বিভাগীয় সমিতি ছাড়া কোনও ক্লাব বা সমিতি বা ছাত্র সংগঠন গঠন করতে পারবে না। এ ছাড়া প্রক্টরের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোনও মিটিং, পার্টি বা আপ্যায়ন অথবা বাদ্যযন্ত্র বাজানো যাবে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক এবং অফিসারের প্রক্টরিয়াল ক্ষমতা থাকবে, রাতের খাবারের পর পর ছাত্রদের রোল কল করতে হবে, রোল কলের সময় শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তাদের রুমে থাকতে হবে।
তবে এতোদিন এমন অনেক নিয়মনীতি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের কাগজ কলমেই ছিল, প্রয়োগ হয়নি কখনো। ফলে বর্তমান সময়ের সাথে চলা শিক্ষার্থীদের মাঝে এমন নিয়মনীতি হঠাৎই প্রচার হলে নেট জগতে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এটাকে হাসি-তামাশায় উড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে ছাত্র সংগঠনগুলো এটাকে প্রশাসনের নতুন চক্রান্ত আখ্যা দেয়। তবে নবাগত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের নিয়ম-শৃঙ্খলা জানানোর জন্য এই পুরোনো নোটিশ নতুন করে প্রচার করা হয়েছে বলে জানান প্রশাসন।
যাদের হারিয়ে শোকাহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
এবছর সাবেক-বর্তমান মিলে ১৪ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে হারিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। যাদের হারিয়ে গভীরভাবে শোকাহত এই বিশ্ববিদ্যালয়। যার মধ্যে রয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসান আজিজুল হক, দর্শন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আব্দুল হামিদ, রসায়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক শামসুল ইসলাম, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক কায়েস উদ্দিন, এগ্রোনমী এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৌফিক ইকবাল, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আব্দুস সালাম, ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপিকা ড. শামসুন নাহার, সমাজ কর্ম বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আব্দুল হালিম, অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. তারেক সাইফুল ইসলাম, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মোবাসিরা তাহসিন ইরা, ভেটেরেনারি এন্ড এনিমেল্যাল সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থী রহিদুল ইসলাম, সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মৌসুমি আক্তার ইতি ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পার্থ সারতী রায়।