যে তিন কারণে বাতিল করা হয় ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ
২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা একবারই সুযোগ পেয়ে আসছেন। এর আগে, দুইবার করে সুযোগ পেতেন শিক্ষার্থীরা। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছিলেন, তিন কারণে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ বাতিল করেছেন তারা।
তিনটি কারণ হলো-
- দ্বিতীয়বার ভর্তি সুযোগের কারণে বিভাগ পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক আসন ফাঁকা থাকে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। দেশের অর্থের অপচয় হয়।
- প্রথম বছরের পরীক্ষার্থী ও দ্বিতীয় বছরের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হয়।
- দ্বিতীয়বারের শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সুযোগ বেশি নেয়।
করোনা মহামারীর কারণে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের অটোপাশ দেয়া হয়। এতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করে। যা অন্য বারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। কিন্তু সে অনুযায়ী বাড়ানো হয়নি আসন। যার কারণে উচ্চ শিক্ষা অর্জনে পিছিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। তারাই দাবি করেছেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ দেয়ার জন্য।
আরও পড়ুন- দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ নিয়ে যা বললেন ঢাবি ভিসি
ভর্তিচ্ছুরা বলছেন, যারা প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভালো বিষয় পায় না তাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভালো বিষয় পাওয়ার আশায়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মাথায় রেখে যুগোপযোগী বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়তে চাওয়াটা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মতো নম্বর কর্তন করার বিধান রেখে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে পারে। এছাড়া যারা প্রথমবারেই চান্স পেয়ে ভর্তি আছে, তারা আর পরীক্ষা দিতে পারবে না এমন শর্ত দিয়েও ঢাবিতে সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন- ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে বড় আন্দোলনের আভাস
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ঢাবি উপাচার্য বলেন, আমাদের শিক্ষকরা অনেক গবেষণা করে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। অনেকগুলো যৌক্তিক কারণে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। যেভাবে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে সেভাবেই আগামীতেও হবে।