ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু: তৃতীয় দফায় দু’দিনের রিমান্ডে স্বামী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ইলমা চৌধুরী মেঘলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী ইফতেখার আবেদীনের তৃতীয় দফায় দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (২২ ডিসেম্বর) তাকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বনানী থানায় করা হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে আবারও তিনদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিব তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৯ ডিসেম্বর ইফতেখারকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বনানী থানায় করা হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে আবারও পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিব তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর ইফতেখার আবেদীনকে বনানী থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় মারা যান ইলমা। তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা। তবে ইলমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, ‘ইলমা আত্মহত্যা করেছেন।’
ইলমার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ইলমাকে প্রথমে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ইলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইলমার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করা হয়।