ফেসবুকে পরিচয়-প্রেম, বিয়ের ৬ মাস না যেতেই লাশ হলেন ঢাবি ছাত্রী
ফেসবুকে পরিচয়। এরপর জড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। অতঃপর বিয়ে; ৬ মাস সংসার না করতেই লাশ হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের ছাত্রী এলমা চৌধুরী মেঘলা (২৬)।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় মারা যান ইলমা। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে সুরতহাল প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে।
ইলমা ঢাকার ধামরাই উপজেলার সাইফুল ইসলামের মেয়ে। বর্তমানে কানাডা প্রবাসী স্বামী ইফতেখারকে নিয়ে বনানীর একটি বাসায় থাকতেন। নিহতের খালু মো. ইকবাল বলেন, ৫-৬ মাস আগে কানাডা প্রবাসী ইফতেখারের সঙ্গে মেঘলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বনানীতে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তবে তার স্বামী কানাডাতেই ছিলেন।
আজ বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকেরা। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ঢাকার ধামরাইয়ের পাটানটুলায় চলে গেছেন।
মর্গ সূত্র জানায়, মরদেহ থেকে ভিসেরাসহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
মর্গে মৃত ছাত্রীর চাচা গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, কানাডা প্রবাসী ইফতেখারের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় ইলমার। এরপর তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। দেড় মাস পর পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের ৩-৪ মাস পর স্বামী আবার কানাডা চলে যায়। এরপর থেকেই শুরু হয় ইলমাকে সন্দেহ।
তিনি বলেন, ইলমার বয়ফ্রেন্ড আছে। তার সঙ্গে নিয়মিত দেখা করে এই সন্দেহে তার ওপর শুরু করে মানসিক নির্যাতন। তাকে কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করতে দিত না। এমনকি পরিবারের সঙ্গেও না। বিদেশ থেকেই তাকে হুমকি দিত দেশে আসার পর তাকে শিক্ষা দেবে।
তিনি বলেন, ইলমার স্বামী কবে দেশে আসছে তাও জানি না। শুনেছি ৬ দিন আগে সে দেশে এসেছে। গতকাল স্বামী ইফতেখার ইলমার মাকে ফোন দিয়ে জানায়, ইলমা রুমের দরজা বন্ধ করে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছে। তাকে দরজা ভেঙে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে স্বজনরা সবাই ওই হাসপাতালে গিয়ে ইলমাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।