১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:১৯

ঢাবির হলে খসে পড়ল পলেস্তরা, অল্পের জন্য রক্ষা পেল শিক্ষার্থীরা

ঢাবির হলে খসে পড়ল পলেস্তরা, অল্পের জন্য রক্ষা পেল শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মূল ভবনের ১০৬ নম্বর কক্ষের উপর থেকে প্রায় ১৫ কেজি ওজনের পলেস্তরা ভেঙে পড়েছে। এতে অল্পের জন্য রেহাই পেয়েছেন নেজারুল ফরায়জী অপু নামের এক শিক্ষার্থী। অপু ছাড়াও ওই কক্ষে এমআইএস বিভাগের আফজালুর প্রীতম, ফার্সি ভাষা ও সংস্কৃতির শাহীন আলম এবং ইতিহাস বিভাগের মামুন নামের তিনজন শিক্ষার্থী থাকতেন। তাদের অধিকাংশই কক্ষের বাইরে থাকায় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।

পড়ুন: ঢাবিতে যেভাবে ধসে পড়েছিল ছাত্রাবাসের টিভি রুমের ছাদ

হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের অধিকাংশ কক্ষই ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব কক্ষের উপরের পলেস্তরা ফেঁটে গেছে। সামান্য আঁচ পেলেই ভেঙে পড়তে পারে যেকোনো সময়। ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে জগন্নাথ হলের সেই ট্রাজেডির।

গতকাল শনিবার রাতে মুহসীন হলে পলেস্তরা খসে পড়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার বর্ণনায় অপু বলেন, ‘মুহসিন হলের প্রায় প্রতিটি কক্ষেই এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। গতকাল আমি কক্ষে বসে পড়তেছিলাম, আমার চেয়ার থেকে জাস্ট ১ হাত দূরে ১০-১৫ কেজি ওজনের একটা পলেস্তরা হুট করেই খসে পড়ল। এখানে যে কোন দুর্ঘটনায় ঘটতে পারতো।

পড়ুন: রাবির হলে খসে পড়ছে পলেস্তারা, টেন্ডারের অপেক্ষায় প্রভোস্ট

তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ঢাবি শতবর্ষ উৎযাপন করছে, শতবর্ষে আলোয় ক্যাম্পাস রঙিন হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা? অক্টোবর ভবনের একটা ট্রাজেডি থাকার পরও কেনো এই ভবনগুলো মেরামত করা হচ্ছে না? শিক্ষার্থীদের প্রাণের হুমকি আর ঝুঁকিতে রাখতে প্রশাসনের আর কত বেখেয়ালিপনা দেখাবে?

পড়ুন: স্কুলের প্লাস্টার খসে মাথা ফেটে গেল ছাত্রের

একই কক্ষের মামুন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এক মাস আগে প্রশাসন কক্ষ নম্বর লিখে নিলেও এই কাজটাকে অবহেলা করছে। কাল যে ঘটনাটি ঘটেছে এটা খুবই মর্মান্তিক হতে পারত, এটি মাথায় পড়লে একজনের জীবন, মানুষের স্বপ্নই শেষ হতে পারতো।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরেই, হল ভবনের চার থেকে ছয় তলায় যেসব কক্ষের রুমের প্লাস্টার ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে ছিল সেগুলো আমরা নিজেরাই ভেঙ্গে ঝুঁকিমুক্ত করার ব্যবস্থা করেছি। ইতোমধ্যে হলের এসব সংস্কার কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সমীপে একটি চিঠি দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ মহোদয়ের সাথে আমরা দেখা করে কথাও বলেছি। আমরা যতদূর জানি এ সংস্কার কাজের বাস্তবায়নে একটি প্রসেসিং চলছে। এ কাজগুলো আসলে একটা প্রসেসিং-এর মধ্য দিয়েই করতে হয়। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করি, অতি দ্রুত এ সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারব।