০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৫৩

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্রাব করার টাইমও আমার নেই’

ডা. মুরাদ হাসান  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ক’ এবং ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম তিনশো জনের মধ্যে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তবে সেখানে ভর্তি হওয়ার পর তা বাতিল করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পরে সেখান থেকে ডা. মুরাদ হাসান এমবিবিএস পাস করেন।

এ তথ্য জানিয়ে ফেসবুকের এক লাইভে তিনি বলেছেন, “শুনেন আমি না হয় পড়াশোনা ঠিক মতো করি নাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রাচ্যের অক্সফোর্ডে আমি ‘ক’ এবং ‘ঘ’ ইউনিট দুটোতেই প্রথম তিনশো জনের মধ্যে আমি একজন ছিলাম। ভর্তি হয়ে সাত দিন পর বাদ দিয়ে (বাতিল করে) ময়মনসিংহ মেডিকেলে চলে গেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদেরকে বলতাম, শোন তোদের ওখানেও প্রস্রাব করার টাইমও আমার নেই।”

গতকাল সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় নাহিদ রেইনস পিকচার নামে একটি ফেসবুক পেজে লাইভে এসে একথা বলেন ডা. মুরাদ হাসান। ঘন্টখানেক ধরে ‘অনলাইনে রাজনৈতিক শিষ্টাচার নিয়ে’ শিরোনামে চলা এই লাইভে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া ও শামসুন নাহার হলের সাবেক নেত্রীদের নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।

এদিকে, লাইভ শেষে সর্ম্পূণ ভিডিওটি ওই পেজ থেকে ডিলেট করে দেওয়া হয়। তবে অনেকেই তার এসব বক্তব্য লাইভ চলাকালীন সময়ে রেকর্ড করে রাখেন। পরবর্তীতে এসব ভিডিও বিভিন্ন ইউটিউব ও ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়।

পরবর্তীতে ডা. মুরাদ হাসানের এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও। তারা বলেন, প্রতিমন্ত্রী মুরাদের মতো একজন কুরুচিপূর্ণ ও বিকৃত চরিত্রের লোক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে এসব মন্তব্য করে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির চূড়ান্ত স্থলনের উদাহরণ দেখালো মাত্র। অনেকে আবার তার (প্রতিমন্ত্রী মুরাদ) সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় পদে থাকার যোগ্য নয় বলেও মনে করেন।

লাইভে ডা. মুরাদ হাসান বলেন, এরা আবার জয় বাংলার কথা বলে, এরা আর ছাত্রলীগ করছে নাকি, এরা আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ছে। এরা নাকি নেত্রী ছিলেন কোন কোন হলের। কেউ কেউ বলেন শামসুন নাহার হলের, কেউ কেউ বলেন রোকেয়া হলের। আরও বিভিন্ন হলেরও নাকি নেত্রী ছিলেন।

“কিন্তু রাতের বেলা তারা নিজেদের রুমে থাকতেন না। ঘুমাতেন হোটেলে হোটেলে।কারণ ফাইভ স্টার হোটলে থাকার আর রোকেয়া-শামসুন নাহার হলে থাকা কি এক কথা। আমি এরচেয়ে বেশি বললো না, হয়তো এটা (লাইভ শো) শেষ হওয়ার পর মিছিল শুরু হয়ে যেতে পারে।” 

তিনি আরও বলেন, আমার দলের নামধারী কিছু লোক রয়েছে তাদের নামগুলো বলবো না। ঢাবিতে পড়তেন একের পর এক প্রেম করে চ্যাকা খেয়েছেন আর শেষ বিয়েটা যারে করছেন তার নামটাও বলবো না। সে ভদ্র মহিলা আজকে বিশাল প্রতিবাদী নারী। নারীবাদীদের নেত্রী হয়ে গেছে।

 

এর আগে গত ১ ডিসেম্বর রাতে ‘অসুস্থ খালেদা, বিকৃত বিএনপির নেতাকর্মী’ শিরোনামে একই পেজ থেকে লাইভে যুক্ত হয়ে তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান।