২১ নভেম্বর ২০২১, ১৯:৪৪

জাবিতে ভর্তিচ্ছুর মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক ১

অভিযুক্ত সাজ্জাদ সরোয়ার সায়েম  © টিডিসি ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে সাজ্জাদ সরোয়ার সায়েম (২৯) নামে এক যুবককে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার (২১ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) থেকে ছিনতাইকৃত মোবাইলসহ তাকে হাতেনাতে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তরা তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন।

সায়েম রাজধানী ঢাকার খিলগাঁওয়ের বালুপাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

আটককারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মোবাইল হারিয়ে কয়েকজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী কান্না করছিলেন। এ সময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্য মতে সায়েমসহ কয়েকজনকে শনাক্ত করি। তবে সায়েমকে ধরতে পারলেও অন্যরা পালিয়ে যান। পরে তাকে তল্লাশি করলে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এসয় তিনি উক্ত ফোনের সঠিক মালিকের নাম বলতে পারছিলেন না। তিনি কখনো মামুন নামের এক সাবেক শিক্ষার্থীর ফোন, কখনো মামুনের এলাকার ছোট ভাই সজলের ফোন বলে দাবি করেন।

তবে সায়েম নিজে ফোন ছিনতাই করেননি বরং সজল তাকে ফোনটি রাখতে দিয়েছেন বলে দাবি করেন ।

তিনি বলেন, আমি ফোন ছিনতাই করিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ ব্যাচের মামুন খান ভাইয়ের এলাকার ছোট ভাই সজল এই ফোনটা আমাকে দিয়েছে। হয়তো সজল নিজে মোবাইলটি ছিনতাই করেছে। এ সময় ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত ৪২তম ব্যাচের রাসেল নামে আরেক শিক্ষার্থীর নামও জানান তিনি।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মামুন খান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার এসব বিষয় নিয়ে ভাবার সময় নেই। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ ব্যাচের ছোট ভাই, সেই হিসেবে পরিচয় ছিল। এর বেশি কিছু আমি জানি না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ছিনতাইকালে সায়েমকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তাকে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। তার সাথে কথা বলে আরো কিছু নাম পেয়েছি যাদের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ ছিলো। অভিযুক্তকে আমরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। আশা করি এর সাথে
জড়িত সকলকে বের করে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ হাজার শিক্ষার্থীর স্বার্থে এ রকম দুই একজন শিক্ষার্থীর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিবে না।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক হারুন অর রশিদ বলেন, ছিনতাই কাজে জড়িত থাকা অবস্থায় তাকে শিক্ষার্থীরা ধরেছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের আছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় আরো যাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।