টেকসই উন্নয়নের জন্য নৈতিকতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে: ঢাবি উপাচার্য
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমাজে নৈতিকতার উন্নয়ন ঘটানোর আহবান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, সমাজে এখন সবচেয়ে বড় সংকট হলো নৈতিকতার সংকট। আর টেকসই উন্নয়ন ও নৈতিক উন্নয়ন এক অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই টেকসই উন্নয়ন ঘটাতে হলে নৈতিকতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ব দর্শন দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে একাত্ম থেকে বিশ্ব দর্শন দিবস উদযাপন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, দর্শন সমাজের শোষণ, নিপীড়ন, অসংগতি, অযৌক্তিকতা ও অনাকাঙ্খিত বিষয়গুলো নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নৈতিক দর্শন ধারণ করে সৃষ্টিশীল ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হয়ে সমাজের সংকট নিরসনের জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
‘সমাকালীন সংকট মোকাবেলায় দর্শন’ প্রতিপাদ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগ, গোবিন্দ দেব দর্শন কেন্দ্র, নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্র এবং দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান ও গোবিন্দ দেব দর্শন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. হারুন রশীদ। আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তফা আবুলউলায়ী, দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজা রহমান চৌধুরী বাবলী এবং সরকারি তিতুমীর কলেজের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাসিমা আক্তার চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন ‘ইথিক্যাল জাস্টিফিকেশন অব হুইসেল ব্লোয়িং এন্ড প্রটেকশন অব হুইসেল ব্লোয়ারস’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।