ঢাবিতে ফিরছে ‘জোবাইক’ সেবা, পেমেন্ট পদ্ধতিতে পরিবর্তন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আবারও চালু হতে যাচ্ছে অ্যাপভিত্তিক সাইকেল সেবা ‘জোবাইক’। এই বছরের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ক্যাম্পাসে এ সেবা পাওয়া যাবে। ক্যাম্পাসে জোবাইকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেদী রেজা সোমবার (০১ নভেম্বর) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জোবাইক শেয়ারিং সেবা চালু করতে আমরা চেষ্টা করছি। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে এ সেবা চালু করা হবে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। যার কারণে আমাদের অনেক সাইকেলের ক্ষতি হয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে নতুন ১০০টি সাইকেল দিয়ে শুরু করবো। পরে আরও বাড়ানো হবে।
নতুন কোনো সেবা চালু করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবার নতুন ফিচার হিসেবে পেমেন্টে পদ্ধতিতে পরিবর্তন হবে। ক্যাম্পাস এলাকায় শিক্ষার্থীদের জোবাইকের একাউন্টে রিচার্জের জন্য আগে কলাভবনের শ্যাডোতে রিচার্জ পয়েন্টে রিচার্জ করতে হতো। কিন্তু এবার অনলাইনে করার সুযোগ থাকবে। বিকাশের মাধ্যমেও রিচার্জ করা যাবে। এছাড়া ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও পেমেন্ট করা যাবে।
এর আগে, ২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর ‘কার্বন ফ্রি’ ক্যাম্পাস বিনির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জোবাইক সার্ভিস ‘ডিইউ চক্কর’-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দর, নিয়ন্ত্রিত ও সুব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জোবাইক পরিচালিত হবে। পরিবেশ বান্ধব এই ব্যবস্থা যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে।
ক্যাম্পাসে এ সেবা চালু হওয়ার পর থেকে ব্যবহারকারীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পরে করোনাভাইরাস শুরু হলে ‘ডিইউ চক্কর’ নামে পরিচিত এই সেবাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য গত বছরের মার্চে বন্ধ হয়ে যায়। ঢাবি ক্যাম্পাসে জোবাইকের সেবাটি পুনরায় চালু করার জন্য যাবতীয় কারিগরি ও প্রযুক্তিগত ত্রুটি সংশোধন ও নতুন সব সেবা সংযোজনে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে, ‘জোবাইক’ সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে অনেক শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা ছিল। সেবাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সে টাকাগুলোও কার্যকত অকেজো হয়ে পড়ে। মেহেদী রেজা বলেন, যাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ছিল তাদের টাকা খুব দ্রুত ফেরত দেওয়া হবে। পাশাপাশি থাকবে বোনাস অফার। সাইকেল অতিরিক্ত সময় রাইডিং-এর সুযোগও থাকবে।
‘জোবাইক’ সেবার নতুন সংযোজনের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের ই-বাইক সেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এই সেবা সর্ব প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হতে যাচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ থেকে ৪০টা বাইক নামানোর পরিকল্পনা আছে। তবে এটাতে দু’তিন মাস সময় লাগবে আমাদের। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে চালু হবে ই-বাইক সেবা।
প্রসঙ্গত, জোবাইক শেয়ারিং হচ্ছে মুঠোফোনে অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বাইসাইকেল সেবা। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে তার মুঠোফোনে নির্দিষ্ট অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। তারপরে ব্যবহারকারী ‘কি-কোড’ স্ক্যান করে বাইকগুলি আনলক করে চালাতে পারেন।