সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের বিচার চাইলেন রাবি শিক্ষার্থীরা
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৮ অক্টোবর) ক্যাম্পাসে পৃথক কর্মসূচীতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে এই দাবি জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মালম্বী শিক্ষার্থীরা দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধন করে। মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মানিক রায় অভি।
কর্মসূচিতে বক্তরা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার বীজ বপন করেছিলেন। কিন্তু এটি এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা সনাতনী ধর্মাবলম্বী যারা আছি তারা ১৯৪৭ এর সময় দেশত্যাগ করিনি, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও দেশ ছেড়ে যাইনি। আমরা এদেশেই থাকতে চাই। তাহলে কেন আমাদের সঙ্গে এমন হচ্ছে? কেন আমাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে?
বক্তারা আরও বলেন, একটা সময়ে এদেশে মোট জনশক্তির ২২ শতাংশ ছিল সনাতন জনগোষ্ঠী। এখন সেটি ৬ শতাংশে নেমেছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ একসময় আফগানিস্তানের মতো হয়ে যাবে। আমরা কোনও দয়া কিংবা করুণা চাই না। আমরা এই রাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাই।
প্রায় একই সময়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে হওয়া বিক্ষোভ মিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। সমাবেশে বক্তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের জন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
এছাড়া যৌথ মানববন্ধন কর্মসূচীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর নির্যাতনের বিচার চেয়েছে রাবি শাখা বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী ও ছাত্রফ্রন্ট্রের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে হওয়া ওই কর্মসূচি থেকে নেতাকর্মীরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজামণ্ডপে হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান।