আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ২২ ভুলের খবর জানলে কী বলবে

ঢাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রকাশিত ভুলে ভরা একটি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে
ঢাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রকাশিত ভুলে ভরা একটি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রকাশিত ভুলে ভরা একটি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিভাগটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শায়লা শারমিনের স্বাক্ষরিত ৬ লাইনের বিজ্ঞপ্তিতে অন্তত ২২টি বানানে ভুল দেখা গেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগ কোনভাবে এ ধরনের ভুলের দায় এড়াতে পারে না। এমন ভুলের খবর আগেও সামনে এসেছে। সতর্ক কারার পরেও বারবার কেন এমন হচ্ছে বিষয়টি উদ্বেগজনক।

এর আগে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের এক বিজ্ঞপ্তিতে একাধিক বানান, বাক্য, সাধু-চলিত মিশ্রণজনিত গুরুচণ্ডালীসহ ১৭টি ভুল দেখা গেছে। এছাড়া সে বছরের মার্চে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বঙ্গবন্ধুর নামের বানান ভুল লেখা হয়।

উপাচার্য বলেন, ভালো কাজের চেয়ে খারাপ যেকোনো বিষয় তুচ্ছ হলেও সেটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। রীতিমতো তাই হচ্ছে। তবে এসব বিষয়গুলো আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। স্বাভাবিকভাবে জনসাধারণের প্রত্যাশা থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো কাজ ত্রুটিমুক্ত এবং খাঁটি হবে। কিন্তু সে জায়গায় উল্টো ভুল কোন কিছু হলে সেটিতে মানুষ বিভ্রান্ত হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নয়। এটি এমন এক বিশ্ববিদ্যালয় যেটি একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছে। বিশ্বব্যাপী নিজেদের রয়েছে একটা ঐতিহ্যও। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রশংসা করে উপাচার্য বলেছেন, ঢাবির খাবারের এমন সুযোগ-সুবিধার কথা যদি কোনো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানতে পারে, তাহলে এটা গিনেস বুকে রেকর্ড হবে।

ঢাবি উপাচার্যের কাছে প্রশ্ন ছিলো, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি এক বিজ্ঞপ্তিতে ২২ ভুলের খবর শুনেন, তাহলে তারা কী বলবেন? অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ভুল কোনভাবে কাম্য নয়। বিজ্ঞপ্তির মতো বিষয়গুলো একাধিকবার চেক করা হয়। তবুও কীভাবে ভুল হচ্ছে! আমরা তা খতিয়ে দেখছি। শুধু দেশে নয়, বহির্বিশ্বেও বিশ্ববিদ্যালয়টির একটা ঐতিহ্য রয়েছে। সে জায়গা থেকে এ ভুলগুলো তাদের নজরে আসলে তারাও আলোচনা-সমালোচনা করবে।

অধ্যাপক ড. শায়লা শারমিনের ওই বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে বিভাগটির সশরীরে ক্লাস কার্যক্রম শুরু নিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৬ লাইনের সেই বিজ্ঞপ্তিতে অন্তত ২২টি ভুল থাকায় তা নিয়ে চটেছেন নেটিজেনরা। তাদের কথা, বিভাগের সভাপতির স্বাক্ষর হওয়া একটি বিজ্ঞপ্তিতে এমন ভুল কাম্য নয়। অনেক কর্তাব্যক্তি কাগজপত্র না পড়েই যে স্বাক্ষর করে দেন, তার প্রমাণ এই ঘটনা।


সর্বশেষ সংবাদ