ঢাবির মাস্টারপ্ল্যান দেখে সন্তোষ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ উপলক্ষে প্রণয়ন করা মাস্টারপ্ল্যান উপস্থাপন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। সোমবার (১১ অক্টোবর) উপাচার্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী এই মাস্টারপ্ল্যান দেখে কিছু পরামর্শ দেন এবং সেই পরামর্শ মাস্টারপ্ল্যানের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন। উপাচার্য আখতারুজ্জামান এই তথ্য জানান।
উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান অবলোকন করেছেন। তার পরামর্শেই তার স্মৃতিবিজড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে এই প্ল্যানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। মাস্টারপ্ল্যান দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মাস্টারপ্ল্যানের প্রাথমিক খসড়া বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তিন ধাপে ৯৭টি ভবন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে একাডেমিক ভবন থাকবে ১৭টি, ছাত্রী হল ৮টি, ছাত্রদের ১৬টি, হাউজ টিউটর ভবন ২২টি, শিক্ষক ও অফিসারদের জন্য ১২টি, স্টাফদের জন্য ৯টি ভবন। অন্য ক্যাটগরিতে থাকছে ১৩টি ভবন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদি ঠিক রেখে পুরো এলাকাকে নতুন করে সাজানো হবে। মূল বেদির পেছনে থাকবে গাছের বেস্টনী আর দুই পাশে দুটি সবুজ চত্বর। সামনের দিকে থাকবে চারটি চত্বর। এর পরে ঢাকা মেডিক্যালের দিক থেকে যে রাস্তাটা শিববাড়ির দিকে গেছে তাতে পুরোপুরি যান চলাচল বন্ধ থাকবে। একইসাথে শহীদ মিনার থেকে পলাশীর দিকে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ থাকবে। এ দুই রাস্তা প্রাইভেট সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হবে। কোন ধরনের যান চলাচল থাকবে না।
জগন্নাথ হল আর শিববাড়ির রাস্তার মাঝখানে থাকা শিক্ষকদের আবাসিক ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে। সেখানে সবুজের মিশেলে থাকবে দৃষ্টিনন্দন চত্বর। যেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বিশিষ্টজনদের মৃত্যুর পর শ্রদ্ধা নিবেদন ও গল্প বা আড্ডার জন্য নির্ধারিত থাকবে। এর বিপরীতে থাকা বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের পাশে পুকুরটিকে দৃষ্টিনন্দন লেকে পরিণত করা হবে, যার মধ্যে থাকবে ঝর্ণা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে যেতে যে রাস্তা যেটি বন্ধ থাকবে, তা বিশেষ অনুষ্ঠানের দিন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রবেশের জন্য খোলার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া আইন অনুষদের জন্য প্রস্তাবিত নতুন ভবনের দেওয়ালে থাকবে ডিজিটাল স্ক্রিন।
ছাত্রীদের জন্য আলাদা খেলার মাঠ, যানজট নিরসনে পাবলিক প্রাইভেট সড়ক, টানেল, লাইব্রেরি, সাইকেল লেন, সবুজের পরিমাণ বাড়ানোসহ নানা ধরনের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মাস্টারপ্ল্যানে।