গণরুম সংস্কৃতি উঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: ঢাবি ভিসি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন, সিনিয়র ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ও দায়িত্বশীল আচরণ হলগুলোতে থাকা গণরুম সংস্কৃতিকে বিলোপ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.আখতারুজ্জামান।
হল খোলার প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
উপাচার্য বলেন, গণরুম সংস্কৃতি নতুন কোনো সমস্যা নয়। এটা অনেক পুরোনো সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি একজন শিক্ষার্থীর জন্য ভালো মূল্যবোধের প্রতিবন্ধক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক একজন শিক্ষার্থী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই গণরুম সংস্কৃতি উঠিয়ে দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গণরুম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত একটি সমস্যা। এটি নতুন কোনো সৃষ্ট সমস্যা নয়। আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখনও এটা ছিল। শিক্ষার্থীদের ভালো মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে এই গণরুম হলো প্রতিবন্ধকতা। সকল শিক্ষার্থী ও ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সব ধরনের সহযোগিতা থাকে তবে বিষয়টির একটি সুরাহা হয়ে যাবে এবং এটি থাকবে না। গণরুম থাকার মতো সংস্কৃতি কোনোভাবেই কাম্য নয় বলেও জানান তিনি।
উপাচার্য বলেন, সকলে যদি তাদের নিজের ক্ষেত্র থেকে দায়িত্বশীল আচরণ করে তবে হলগুলোতে আর গণরুমে শিক্ষার্থীদের ঠাসাঠাসি করে থাকতে হবে না। এক্ষেত্রে সিনিয়র শিক্ষার্থীদেরও বেশ কিছু দায়িত্ব আছে। শতবর্ষে এসে গণরুম না থাকার যে মহৎ সিদ্ধান্তটি হাতে নিয়েছি সেটা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে যদি সকলের সহযোগিতা থাকে। ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে শেখ হাসিনাও এই গণরুমের মোটেও পছন্দ করছেন না। শিক্ষার্থীদের জীবন মানে ঘাটতি পরুক, গণরুমের মতো প্রতিকূল পরিবেশ থাকুক এটা তিনি চাননা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিদের দেড় বছর পিছিয়ে পরায় সেশনজটের বিষয়টি কাটিয়ে উঠতে লস রিকোভারি প্লান করা হয়েছে যার মাধ্যমে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।