জগন্নাথের স্থাপনা দখল করছে ভূমিদস্যুরা—অভিযোগ শিক্ষার্থীদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) একমাত্র কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ধূপখোলা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জাগ্রত হও জবিয়ান', 'জগন্নাথের মাঠ বাচাও', 'জগন্নাথের মাঠে ভূমিদস্যুদের ঠাই নাই' স্লোগান দেন এবং বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরু করে পুরো ক্যাম্পাস একবার প্রদক্ষিণ করে পরে মিছিলটি জবির প্রধান ফটকের সামনের রাস্তা দিয়ে লক্ষীবাজার হয়ে ধুপখোলা মাঠের দিকে যায়। পরবর্তীতে তারা পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এক এক করে জগন্নাথের অনেক স্থাপনা দখল করছে ভূমিদস্যুরা। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার সময়ের হলগুলো সব ভূমিদস্যুদের দখলে বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা বলেন, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনে হয় আজ বড়ো অসহায়। তবে আমাদের মাঠ রক্ষার দাবিতে সবাইকে এক হতে হবে। এসময় তারা হল আন্দোলনের মতো বড় আন্দোলন করবো বলেও তারা হুঁশিয়ারি দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন "বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ববিদ্যালয় রাখতে হলে অবশ্যই মাঠকে পুনুরুদ্ধার করতে হবে।খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে রাখে এখন যদি মাঠ না থাকে তাহলে সেটা শিক্ষার্থীদের মাদকের দিকেও নিয়ে যাবে বলে মনে করেন।"
এর আগে গত বৃহস্পতিবারেও তারা মাঠ উদ্ধার করা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য নিজস্ব কোনো মাঠ না থাকায় ধূপখোলা খেলার মাঠটি তিন ভাগ করে এক ভাগ তৎকালীন সরকারি জগন্নাথ কলেজকে ব্যবহার করার জন্য মৌখিকভাবে অনুমতি দেন। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি খেলার মাঠ হিসেবে ধূপখোলা মাঠটিকে ব্যবহার করছে। এই মাঠেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।