জাবির ৪৯ ব্যাচের হলে ওঠার সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সব আবাসিক হল আগামী ২১ অক্টোবর থেকে খুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বকনিষ্ঠ ৪৯তম ব্যাচের (প্রথম বর্ষ) শিক্ষার্থীরা অন্য সব ব্যাচের সাথে শুরুতেই হলে উঠতে পারবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত এখনও নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত সিট খালি না থাকলে তাদের এক থেকে দেড় মাস পরে হলে ওঠার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের যাতে গণরুমে থাকতে না হয় সেজন্যই এই সময় নেয়ার কথা ভাবছেন তারা।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জাবির প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ ব্যাচের অনেক বিভাগেরই মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তাই তারা হলে থাকতে পারবে না। যেসব বিভাগের পরীক্ষা বাকী আছে তাদেরও মাস খানেকের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা করছেন তারা। আর পরীক্ষা শেষ হলেই তাদেরও হল ছেড়ে দিতে হবে। ছাত্রত্ব নেই এমন কাউকে হলে থাকতে দেওয়া হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের এই প্রাধ্যক্ষ বলেন, যদি ৪৪ ব্যাচের সব বিভাগের পরীক্ষা ২১ অক্টোবরের আগেই শেষ হয়ে যায় তাহলে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওই সময়েই হলে তোলার চেষ্টা করা হবে। অন্যথায় আমাদের এক-দেড় মাস অপেক্ষা করতে হবে তাদের পরীক্ষা শেষ হওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন: জাবির হল খুলবে ২১ অক্টোবর
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কিছুটা সময় নিয়ে হলে তোলার একই কথা জানিয়েছেন জাবির শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সোহেল আহমেদও।
জাবির প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, প্রথম বর্ষের (৪৯তম ব্যাচ) অনলাইনে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনাল পরীক্ষা আগামী এক মাসের মধ্যে শুরু হতে পারে। তাই তাদেরকে পরীক্ষার পরেই হলে উঠানেরা কথা ভাবা হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তই এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরে গত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল পূজার পরে আগামী ২১ অক্টোবর থেকে হল খোলার পরামর্শ দিয়েছে।
হল খোলার পর প্রথম ১৪ দিন হলে থেকে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। তবে প্রয়োজনে হলের বাইরে যেতে পারবেন তারা।
আগামী ২ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট সভায় হল খোলা বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।