জাবি শিক্ষার্থীর ‘ইয়াং গ্লোবাল চেঞ্জমেকারস’ অ্যাওয়ার্ড লাভ
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অসামান্য অবদান রাখায় ‘ইয়াং গ্লোবাল চেঞ্জমেকার্স অ্যাওয়ার্ড- ২০২১’ পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী মবিন সিকদার।
গত রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের রসয়ান বিভাগের ছাত্র মবিনকে। জ্যামাইকা এবং মঙ্গোলিয়ার দুই তরুণের পাশাপাশি একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে এই সম্মাননা লাভ করেন তিনি।
বিশ্বের ৪০টি দেশের ৫০০ জনেরও বেশি প্রতিযোগী এই সম্মানসূচক আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ডটির জন্য আবেদন করেন। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের ১৪ জন তরুণ চেঞ্জমেকারকে ‘রাইজিং ইমপ্যাক্ট ইয়ুথ’ ক্যাটাগরিতে এবং সর্বোচ্চ সম্মাননা হিসেবে ৩ জন চেঞ্জমেকারকে ‘গ্র্যান্ড গ্লোবাল জুরি কমেনডেশন’ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ এই পুরস্কারটিই পেয়েছেন মবিন।
জানতে চাইলে মবিন সিকদার বলেন, যেকোনো ধরনের প্রাপ্তিকে আমি অনেক বড় করে দেখি। এটি আমার প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার। যার কারণে খুশির মাত্রাটা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। এই অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি আমাকে আরও বেশি অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।
দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ও শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ভীতি দূর করতে তরুণ উদ্যোক্তা মবিন ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইন্স বি’ নামে একটি সংগঠন। এটিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান ভিত্তিক এডুকেশন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মবিনের প্রতিষ্ঠিত এই ‘সাইন্স বি’ সংগঠনটি এর আগেও পুরস্কার জিতেছে। পেয়েছে ‘ওয়াইএসএসই গ্লোবাল এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘বিওয়াইএলসি ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২১’।
মবিন জানান, একেকটা স্টেপ, চ্যালেঞ্জ, অ্যাওয়ার্ড আমাকে মনে করিয়ে দেয় আরও বেশি করে কাজ করতে হবে। যেই স্বপ্ন নিয়ে আমি ‘সায়েন্স বি’ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে আমি আরও দৃঢ়ভাবে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবো।
তার কাজ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে যেন শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান চর্চায় অংশগ্রহণ করেন, বিশ্বের বুকে দেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহায্য করেন, সেই প্রত্যাশাই করছেন মবিন।