২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৪২

প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়ার উদ্যোগ নেবে ঢাবি: ভিসি

প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্ধোধন অনুষ্ঠান  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব বলে মনে করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, মানবতাবাদী, কল্যাণকর এবং উন্নয়নমূলক কাজ যারা করেন সে মানুষদের স্বীকৃতি দেওয়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হয়ে পড়ে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হল প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি। এসময় রোকেয়া হল প্রাঙ্গণে একটি স্বর্ণচাঁপা গাছের চারা রোপন করে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন উপাচার্য।

উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনকে তাৎপর্যপূর্ণ করে রাখতে এবং প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী রোকেয়া হলের একজন শিক্ষার্থী ছিলেন, তাই রোকেয়া হল প্রাঙ্গণকেই আমরা বেছে নিয়েছি। আরও বৃহৎ আকারে আমরা কর্মসূচি পালন করতাম, কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এর মধ্যে আমরা সীমাবদ্ধ রেখেছি।

তিনি আরও বলেন, একটি বিষয় আমার ধারণায় আসছে, সেটি হলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তিনি (শেখ হাসিনা) যে উন্নয়নের উদাহরণ রাখছেন, রোল মডেলে পরিণত হয়েছেন, যেভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। এ ধরনের মানবতাবাদী, কল্যাণকর এবং উন্নয়নমূলক কাজ যারা করেন সে মানুষদের স্বীকৃতি দেওয়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হয়ে পড়ে।

উপাচার্য বলেন, আশা করব যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল সে বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই গর্বিত শিক্ষার্থীকে (শেখ হাসিনা) স্বীকৃতি দেবে এবং তাকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দায়িত্ব, যে কর্মপরিধি তার মধ্যেই এগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিন্নাত হুদা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার প্রমুখ।