শতবর্ষে ঢাবি
সচিব আছেন ৫৬ জন, ৪০ জনই ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৪৮ AM , আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:০৭ AM
প্রশাসনের শীর্ষস্থান পদ সচিব। আর সেখানেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষার্থীরা। মন্ত্রণালয় ও বিভাগ মিলে মোট সচিব আছেন ৫৬ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ জন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সাবেক শিক্ষার্থী সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের শতবর্ষপূর্তি চলছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু সরকারি প্রশাসন নয়, দেশের বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও শীর্ষস্থান পদে রয়েছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিদেশেও তারা গৌরবের পদচিহ্ন রেখে চলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান বলেন, নিঃসন্দেহে এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বড় অর্জন। তিনি বলেন, শতবর্ষে এসে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পড়ে শুধু দেশে নয়, বিদেশের প্রতিষ্ঠানেও অনেকে ভালো করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সরাকারি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে শীর্ষতম পদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এই পদে বর্তমানে রয়েছেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ থেকে পড়াশোনা করেছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যরা হচ্ছে-জ্বলানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএ মান্নান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নূর, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, যুব ও ক্রীড়া সচিব আখতার হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জয়নুল বারী, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল হোসেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এহছানে এলাহী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম হাসিবুল আলম, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালেয়র সচিব মোকাম্মেল হোসেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান, সংসদ সচিব কেএম আব্দুস সালাম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা। তারা প্রত্যেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম ও খাদ্যসচিব নাজমানারা খানুম একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, তথ্যসচিব মকবুল হোসেন, সংস্কৃতি সচিব আবুল মনসুর, সেতু বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুল ইসলাম শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এমএন জিয়াউল আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দিন ও সমাজকল্যাণ সচিব মাহফুজা আক্তার।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজম ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পড়েছেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।