সেই ৮০ শিক্ষার্থী চবিতে ভর্তি হতে পারবে না
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার পরও উচ্চমাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়ার কারণে ভর্তি না হতে পারা ৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তি নেওয়া সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
তবে যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে এর মধ্যে ফাহিমা এবং জিন্নাতুন ফেরদৌস নামে দুইজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে চবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের দেওয়া আগের রায় বাতিল নতুন এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার পরও ভর্তি হতে পারেনি ৮২ জন শিক্ষার্থী। উচ্চমাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় বসা এসব শিক্ষার্থী পরে ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে তিনটি রিট করেন।
পৃথক রিট করে তাদের সাথে আইনি লড়াইয়ে যোগ দেন উচ্চমাধ্যমিকে মানন্নোয়ন দিয়ে চবির ডি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অপর এক শিক্ষার্থীও।
ওইসব রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই ৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। এছাড়া ডি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া অন্য রিট আবেদনকারীর ফলাফল প্রকাশ ও সেই অনুযায়ী ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেন।
পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবেদনগুলো দীর্ঘদিন শুনানিতে না আসায় শিক্ষার্থীরা রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভার্চ্যুয়ালি বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে এনে বলেন, আমরা কোথাও ভর্তি হয়নি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও আমাদের ভর্তি করেনি। আমাদের শিক্ষাজীবন আটকে আছে। এরপর আদালত শুনানি শেষে আজ এ বিষয়ে রায় দিলেন।
আদালতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব শফিক। শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি।
আইনজীবী মাহবুব শফিক বলেন, আপিল বিভাগ এ বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়ার রায় বাতিল করে দিয়েছেন। তবে দুই শিক্ষার্থী ফাহিমা এবং জিন্নাতুন ফেরদৌসকে নাইমকে যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ভর্তির বিষয়ে বিবেচনা করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ যদি তারা কেবল প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে থাকেন তবেই তারা ভর্তি হতে পারবেন।
রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী ইলিয়াস কচি বলেন, ৮২ জনের অনেকে অন্য জায়গায় ভর্তি হয়ে গেছে। এখন বাকি আছে ৫৭ জন।