চবির ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে সিনিয়র দুই ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের চার কর্মীর বিরুদ্ধে। হেনস্তার শিকার ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরের কাছে আজ রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই চারজনের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রক্টর জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনের রাস্তায় ১৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তারা এত রাতে ক্যাম্পাসে কেন এসেছেন, তা জানতে চান। আজেবাজে কথা বলেন। শিক্ষাবর্ষ বলার পর একজন তেড়ে আসেন। পরে প্রক্টরের গাড়ি দেখে ছাত্রীরা চিৎকার দেন। প্রক্টর এসে ঘটনাস্থলে আরবি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদকে আটক করেন। বাকি তিনজন পালিয়ে যান। জুনায়েদকে আটকের পর তার মুঠোফোন জব্দ করেন প্রক্টর। এরপর আজ রোববার বাকি তিনজনকে নিয়ে তাকে ক্যাম্পাসে আসার নির্দেশ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত জুনিয়র চারজন হলেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রুবেল হাসান, দর্শন বিভাগের ইমন আহাম্মেদ ও আর এইচ রাজু। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অভিযোগের বিষয়ে জানতে রুবেল ও ইমনকে কয়েকবার ফোন করলেও তাঁরা সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এখন খোঁজ নিচ্ছেন। অপরাধ করলে তাদের শাস্তি পেতে হবে। তবে আদতে তারা ছাত্রলীগ করেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ওই চার ছাত্রের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।