১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:০৬

খোলার পর নজরদারিতে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়, বসানো হবে সিসি ক্যামেরা

প্রতীকী  © সংগহীত

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার পর সার্বিক পরিস্থতি পর্যবেক্ষণের জন্য কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশপথসহ ক্যাম্পাসের স্পর্শকাতর জায়গাগুলো ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার আওতায় আনবে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও উপাচার্যদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসগুলোতে যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বৈঠকের সভাপতি ও মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি একটি গোপন বৈঠক ছিল। তাই, আমি এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না।’

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউজিসির এক সদস্য বলেন, ক্যাম্পাসের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সভায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং প্রবেশপথসহ ক্যাম্পাসের স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে সমস্যায় পড়ে, তাহলে মঞ্জুরি কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে। এই সিসিটিভি নজরদারি যাতে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত না করে, সে বিষয়টিও কর্তৃপক্ষকে বিবেচনায় নিতে হবে।

দেশে মহামারির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তবে চলতি মাসের শেষেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মঞ্জুরি কমিশন ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের মধ্যে এক সভার পর গত মঙ্গলবার সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয় যে, যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের সব শিক্ষার্থীর করোনার টিকার অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারে, তাহলে তারা সরাসরি ক্লাস শুরু করতে পারবে।

এদিকে, সম্প্রতি এক চিঠিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে। এগুলো পুনরায় চালু হওয়ার পর যেনো কোনো ধরনের ‘অরাজক পরিস্থিতি’ তৈরি না হয়, সেজন্য এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া, প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয় ওই চিঠিতে।

একইসঙ্গে, মন্ত্রণালয় ইউজিসিকে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো ধরনের ‘জঙ্গিবাদ প্রচার’ হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি এক বৈঠক নেওয়া সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রণালয় গত ৯ সেপ্টেম্বর ইউজিসিকে এই চিঠি পাঠায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সভায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‍পুনরায় চালু হওয়ার পর সেগুলো পরিচালনার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।