রাবিতে ঐতিহ্যবাহী ‘মুসলিন কাপড়’ পুনর্জন্ম বিষয়ক ওয়েবিনার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হারিয়ে যাওয়ার ঐতিহ্যবাহী মুসলিন কাপড় পুনর্জন্ম বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে এ ওয়েবিনার উদ্বোধন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম।
উদ্বোধনকালে হারিয়ে যাওয়া মসলিনের পুনর্জন্মকরণের উদ্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার পাশাপাশি গবেষক দলের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন উপ-উপচার্য।
অনুষ্ঠানে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এম. মনজুর হোসেন বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হারিয়ে যাওয়া মসলিনকে ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু হয়। ফলে মসলিন সম্পর্কে স্টাডি করে জানা যায়, ঢাকাই মসলিন তৈরি হতো কটন থেকে। তারপর গবেষকদল নিয়ে সারাদেশে সেই কটন উদ্ভিদের খোঁজ শুরু করা হয়। ফলে বেশ কিছু উদ্ভিদের সন্ধান পান।
তিনি আরও বলেন, প্রাপ্ত উদ্ভিদের থেকে কটনের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে ভিক্টোরিয়া ও আলবার্ট মিউজিয়ামের (ব্রিটেন) সংগৃহীত মসলিনের নমুনার সাথে মিল দেখা গেলে শুরু হয় কটন থেকে সুতা তৈরী। এমনকি অন্যান্য চ্যালেঞ্জিং ধাপ সম্পন্ন করে মিউজিয়াম
কর্তৃক সংগৃহীত নমুনার প্রায় ৯৮ শতাংশ মিল সম্পন্ন মসলিন কাপড় তৈরি সম্ভব হয় বলে জানান তিনি।
মসলিনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ড. হোসেন বলেন, শীতলক্ষ্যার তীরে মসলিন সুতা ও কাপড় তৈরীর কারখানা গড়ে উঠেছে। এ সকল ইন্ডাস্ট্রি থেকে পরবর্তীতে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ অধ্যাপক।
জিন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবু রেজা গবেষণার ক্ষেত্রে কখনোই পিছু না হটার পরামর্শ দিয়ে বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে ছাত্র-শিক্ষক সকলকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে হবে। তবেই বাংলাদেশ ফিরে পাবে হারিয়ে যাওয়ার ঐতিহ্য।
এ সময় ওয়েবিনারে অংশ নেন জিন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবু রেজা , প্রাণ রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তানজিমা ইয়াসমিন, সায়েন্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও স্থায়ী কমিটির প্রধান জনাব জহুরুল ইসলাম মুন, স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ ও আজীবন সদস্যবৃন্দ প্রমূখ।