একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় প্রভোস্ট কমিটির সুপারিশ অনুমোদন
এক ডোজ টিকা নেওয়ার সনদ ও বৈধ কাগজপত্র দিয়ে ৫ অক্টেবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা অবস্থান করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডার্ড কমিটির গতকাল বুধবারের এ সুপারিশ আজ বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বিকেল ৩টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, ১৮টি হলের প্রাধ্যক্ষসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া টিকা দেওয়ার স্থান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারকে নির্ধারণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার জন্য লোগো সম্বলিত একটি মাস্কের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্তত এক ডোজ টিকা নিতে হবে, না হয় হলে প্রবেশ করা যাবে না। টিকা নেয়ার ডকুমেন্টও দেখাতে হবে। একইসাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতীয় নীতিমালার আলোকে করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) অবশ্যই মেনে চলতে হবে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে ওঠার বিষয়ে গোলাম রব্বানী জানান, চতুর্থ বর্ষ, মাস্টার্সের পরীক্ষা ও শ্রেণী কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে তারা হল ত্যাগ করে চলে যাবে এবং বাকি শিক্ষার্থীদের আমরা হলে তুলব।
এর আগে, গতকাল বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডার্ড কমিটির সভায় এক ডোজ টিকা নেওয়ার সনদ ও বৈধ কাগজপত্র দিয়ে ৫ অক্টেবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে অবস্থানের সুপারিশ করা হয়।
অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারেও টিকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক বিতরণের একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ৫ অক্টোবর সবার মুখে মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত মাস্ক থাকবে।
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি খুলছে ২৬ সেপ্টেম্বর
অনার্স ফাইনাল ইয়ার এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি খুলে দেওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাসের অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবেন।
স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কে. এম সাইফুল ইসলাম খান বলেছেন, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে অনার্স শেষবর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থী, যারা অন্তত এক ডোজ টিকা নিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও বিভাগীয় সেমিনার ব্যবহার করতে পারবে।