হল ও সেশন ফি মওকুফের দাবি জাবি ছাত্র ইউনিয়নের
শিক্ষার্থীদের আবাসন ও সেশন ফি মওকুফসহ আদায়কৃত অর্থ ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংসদ। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তুষার ধর স্বাক্ষরিত নিবন্ধক বরাবর এক স্মারকলিপিতে বেশকিছু দাবি জানানো হয়।
দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে- বিগত ১৮ মাসের আবাসন ফি ও সেশন চার্জ মওকুফসহ আগামী এক বছরের সকল ফি মওকুফ, যেসকল শিক্ষার্থী হতে ফি আদায় হয়েছে তাদের অর্থ ফেরত প্রদান এবং যেসকল শিক্ষার্থী স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সম্পূরক বৃত্তির অর্থ উত্তোলন করতে পারছেনা তাদের বৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন বিভাগের বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফি মওকুফ করেছে। কিন্তু ভর্তি ও শিক্ষাবৃত্তিসহ অন্যান্য কারণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হল ক্লিয়ারেন্সের নামে নেয়া হচ্ছে আবাসন ফি এবং সেশন চার্জ।’
স্মারকলিপির বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি পেয়েছি। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যথাযথ কর্তৃপক্ষ আলোচনা করবেন। আমরা শিক্ষার্থীদের আবেদনকে বিবেচনায় রেখে কাজ করবো।’
তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নুরুল আলম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমরা ইতোমধ্যেই শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষার ফি মওকুফ করে দিয়েছি। হল প্রভোস্টদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টিও দেখার চেষ্টা করবো।
প্রসঙ্গত, বিগত মাসগুলোর হল ফি পরিশোধ না করায় শিক্ষার্থীদের হল ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলস্বরূপ অনেক শিক্ষার্থীর ভর্তি এবং সম্পূরক বৃত্তি উত্তোলন সহ অন্যান্য জরুরী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি হলের ১২ হাজার ৮৫৪ জন আবাসিক শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে বছরে ২৪০ টাকা করে আবাসন ফি আদায় করা হলে বন্ধের ১৮ মাসে তা দাঁড়িয়েছে ৪৬ লাখ ২৭ হাজার ৪৪০ টাকা।
সংগঠনটির স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘প্রায় ১৮ মাস ধরে শিক্ষার্থীরা হলের বাইরে থাকা স্বত্তেও আবাসন ফি আদায় সম্পূর্ণ অনৈতিক। অতএব, করোনার সময়ে অনেক শিক্ষার্থীর অর্থনৈতিক দীনতার কথা মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিৎ বিগত ১৮ মাসের আবাসন ফি মওকুফ করা।’