বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশের কথা চিন্তাও করা যায় না: রাবি ভিসি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে সকলকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাবি সিনেট ভবনে বঙ্গবন্ধুর উপর একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তাদের (জনগণের) বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতাগুলোও নিখুঁতভাবে শোনা উচিত।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মের ফলে এখন এদেশের জনগণ রাজনীতি করার অধিকার পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশের কথা চিন্তাও করা যায় না।
অধ্যাপক সাব্বির সাত্তার বলেন, কিছু স্বাধীনতাবিরোধী কুলাঙ্গার ছাড়া সমগ্র জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা এনেছে এবং বাঙালি জাতি তাকে তাদের প্রিয়জন হিসাবে গ্রহণ করেছে এবং ভালবেসে তাঁকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেছে।
রাবি প্রভোস্টস কাউন্সিল বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ‘শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু অর্ধশতে বাংলাদেশ’ শিরোনামের বইটি প্রকাশ করে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রাবির প্রো-ভিসি অধ্যাপক চৌধুরী জাকারিয়া এবং অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ এবং রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম।
ভিসিনতুন প্রজন্মের সদস্যদের বিশেষ করে ছাত্রদের দেশপ্রেমিক ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী হওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার আহবান জানান। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে দেশের দেশপ্রেমিক নাগরিক হওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
অধ্যাপক গোলাম সাত্তার উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সামগ্রিকভাবে, বঙ্গবন্ধু নিজেই ছিলেন ‘বাংলাদেশ’। কেননা তৎকালীন সাড়ে সাত কোটি মানুষ মহান নেতার নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য লড়াই করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা, অন্তদৃষ্টি এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এত তীক্ষ্ণ ছিল যে তিনি ছয় দফা দাবিকে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের জন্য) এক দফা দাবিতে রূপান্তর করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ব্রত ছিল মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন, দারিদ্র্যমুক্ত জাতি গঠন এবং এভাবে বাঙালির মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা।