৩০ আগস্ট ২০২১, ০৯:২৪

ফি দ্বিগুণ, প্রত্যাশার চেয়ে আবেদন কম

প্রত্যাশার চেয়ে আবেদন কম  © টিডিসি ফটো

প্রথমবারের মতো দেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে বিনামূল্যে আবেদনের সুযোগ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। প্রথম ধাপে উত্তীর্ণদের জন্য প্রথমে ৬০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হলেও পরে তা ১ হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে যেসব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আসন বেশি থাকার পরও আবেদন তুলনামূলক কম হয়েছে। এ মাসের মধ্যে উত্তীর্ণদের মোবাইল ফোনে বার্তার মাধ্যমে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে। ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে ভর্তি পরিক্ষার জন্য আবেদন করেছেন।

ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৮, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.৫০ ও মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭ থাকার শর্ত ছিল। এবার এইচএসসিতে সবাই উত্তীর্ণ হয়। ওই হিসাবে ১৩ লাখ ৬৪ হাজার পাশ করলেও এই ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্ত অনুযায়ী ৮ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর আবেদনের সুযোগ ছিল। কিন্তু আবেদন সে অনুযায়ি জমা পড়েনি। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা ৬ হাজার হলেও এবার আবেদন পড়েছে ২ লাখ। যা অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় অনেক কম। পরবর্তী ধাপ অর্থাৎ চূড়ান্ত আবেদন আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।

গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মোনাজ আহমেদ নূর বলেন, প্রাথমিক আবেদনে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। আশা করেছিলাম ৭/৮ লাখ আবেদন পড়বে। কিন্তু এত কম আবেদন পড়ায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। ভর্তি পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হতে পারে- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে শিগগিরই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা পরিকল্পনা করেছি অক্টোবরের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নেওয়ার। সশরীরে এ পরীক্ষা নিতে চান বলেও জানান তিনি।

ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে জানা যায়, গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী নিজ নিজ বিভাগে একটি পরীক্ষা দিয়েই যোগ্যতা ও আসন অনুযায়ী যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন। এর আগে ১৯ জুন বিজ্ঞান, ২৬ জুন মানবিক ও ৩ জুলাই বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও করোনার প্রকোপে তা স্থগিত করা হয়।

গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয় হলো : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।