ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম নিয়োগ
১৩ বছর ধরে ঢাবিতে চলছে অনিয়ম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২১, ১১:৪৫ AM , আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২১, ১১:৪৫ AM
২০০৭ সালে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য আলাদা বিধিমালা হলেও ১৩ বছর ধরে অনিয়ম চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ হল ও আবাসিক এলাকার মসজিদগুলোতে ইমাম, মুয়াজ্জিন-খাদেম নিয়োগ ও পদোন্নতিতে। তাদের নিয়োগ ও পদোন্নতি হয়ে আসছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধিমালা অনুযায়ী।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২০টি মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনের পদোন্নতির জন্য আলাদা নীতিমালা থাকলেও সেই নীতিমালা গত ১৩ বছর ধরে মানা হচ্ছে না। ২০০৭ সালে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের নীতিমালা তৈরির জন্য একটি কমিটি করা হয়। পরে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর ঐ নীতিমালা সিন্ডিকেটের অনুমোদন পায়। অনুমোদন পাওয়ার পরও ক্যাম্পাসে কর্মরত ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী পদোন্নতি প্রদান করা হচ্ছে।
গত ১০ বছরেও পদোন্নতি পাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর নীলক্ষেত আবাসিক এলাকা মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা বশির আহমেদ কাসেমি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমাম নিয়োগের জন্য আলাদা বিধিমালা থাকলেও সেই বিধিমালা না মেনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত নীতিমালায় পদোন্নতি দেওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার পদোন্নতির ক্ষেত্রে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নীতিমালা করলেও ঐ নীতিমালায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তুলনায় কিছু কম সুবিধা থাকায় পদোন্নতির এই নীতিমালার বিষয়ে চুপ ছিলেন ইমামরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নীতিমালায় পদোন্নতি প্রদান করায় অনেকেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কিংবা সহকারী রেজিস্ট্রার পদমর্যাদা ভোগ করেন। কিন্তু তাদের পদোন্নতি ও পদবিন্যাসের জন্য আলাদা নিয়ম রয়েছে। তা কখনো মানা হয় না।
ইমাম ও কর্মকর্তাদের নীতিমালা ঘেঁটে দেখা যায়, ইমামরা সর্বোচ্চ পদোন্নতি পেয়ে জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী পঞ্চম গ্রেড পান। কিন্তু কর্মকর্তাদের নীতিমালা অনুযায়ী তৃতীয় গ্রেডে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, অনিয়ম হয়ে থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা খোঁজ নিয়ে জানালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।