২৭ আগস্ট ২০২১, ১৪:১২

কবি নজরুল আমাদের অফুরান প্রেরণার উৎস: ঢাবি উপাচার্য

কবি নজরুল আমাদের অফুরান প্রেরণার উৎস: ঢাবি উপাচার্য  © টিডিসি ফটো

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকর্ম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, তিনি আমাদের অফুরান প্রেরণার উৎস। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা সবসময় রয়েছে। অসাম্প্রদায়িক, মানবিক, সাম্য ও প্রেমের কবি কাজী নজরুলের দর্শন ও চেতনা সব শ্রেণির মানুষকে সর্বদা অনুপ্রাণিত করে। তাই তাঁর চেতনা ও দর্শন চিরঞ্জীব ও চির অম্লান।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

উপাচার্য অমর কাব্যের কবি কাজী নজরুলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি কাজী নজরুলকে এদেশে নিয়ে আসা, তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি লিট ডিগ্রি প্রদান এবং জাতীয় কবির মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে তাঁকে যথার্থভাবে সম্মানিত করেছেন।

ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিশিষ্ট নজরুল বিশেষজ্ঞ জাতীয় অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা সঞ্চালনা ও সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান কবি নজরুলকে আমাদের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ আখ্যায়িত করে বলেন, বিশ-এর দশকে অসাম্প্রদায়িক বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কবি নজরুলের অসাধারণ যোগসূত্র ছিল। উপাচার্য নজরুলের অনবদ্য সৃষ্টি সমূহের নিয়মিত চর্চা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও বেগবান করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

পুষ্পস্তবক অর্পণ

জাতীয় অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু কবি নজরুলকে ভীষণ ভালোবাসতেন এবং তাঁর সৃষ্টিকর্ম দ্বারা অনুপ্রাণিত হতেন। তাই স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু কবিকে বাংলাদেশে এনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেন। নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার মাধ্যমে বাংলা কবিতার মোড় পরিবর্তন ঘটে। যতদিন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য থাকবে ততদিন কবি নজরুল তাঁর বিদ্রোহী কবিতার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

এর আগে কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন। এছাড়া, বাদ ফজর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়া’য় কোরানখানি অনুষ্ঠিত হয়।