জাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোস্তাহিদুর রহমানের দাফন সম্পন্ন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমানের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার তিনি রাজধানীর ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে বিকেল সাড়ে ৩টায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তাঁর মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
গত ৪ আগস্ট কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। গতকাল ২০ আগস্ট রাত ৮ টায় শান্তিনগর আমিনবাগ জামে মসজিদ প্রথম নামাজের জানাজা হয়। আজ শনিবার সকাল ১০ টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় টেনিস মাঠে দ্বিতীয় নামাজের জানাজা শেষে দুপুরে ঢাকা বনানী করবস্থানে দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নামাজের জানাজা অংশ নিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার ও বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন সভাপতি অধ্যাপক আবুবকর সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান, অধ্যাপক ড. সৈয়দ কামরুল হাসান, অধ্যাপক ড. মেসবাহুল সালেহীন, অধ্যাপক ড. সোহেল রানা, অধ্যাপক মাহরুহি সাত্তার ও কানাডা প্রবাসী ছেলে খন্দকার আশফাকুর রহমান প্রমূখ।
মরহুমের মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ ও মরহুমের মেয়ে ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার তাসমিনা রহমান ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতারা।
খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান ১৯৪৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শামসুর রহমান পূর্ব পাকিস্তান সরকারের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ১ম স্থান অর্জন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ জানুযারী, ১৯৭১ সালে অর্থনীতি বিভাগে যোগদান করেন। সিনেটরদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর পাণ্ডিত্যের কারণে শিক্ষার্থীরা তাকে ‘জীবন্ত লাইব্রেরি’ খ্যাতিতে ভূষিত করেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় কর্মী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।