আন্তর্জাতিক র্যাংকিং উন্নয়নে ঢাবির উদ্যোগ
বিশ্ব র্যাংকিংয়ে এক হাজারের কাছাকাছি কিংবা তারও পরের অবস্থানে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। তাই এবার র্যাংকিংয়ে অবস্থানের উন্নয়নের লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সংস্থাগুলোর র্যাংকিং তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান নিরূপণ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সূচক হলো- আন্তর্জাতিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, যা আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানের উন্নয়ন ঘটাতে সহায়তা করে। তাই আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিভাগ/ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠাতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে। সোমবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইংরেজি ভাষায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থীদের তাদের নিজেদের নাম, কর্মস্থলে তাদের স্তর বা পদবি, কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউটে কর্মরত রয়েছেন সেটির নাম ও ঠিকানা এবং ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ই-মেইল বা ফোন নাম্বার সংযুক্ত করে এক্সেল ফরম্যাটে registrar@du.ac.bd ইমেইল ঠিকানায় পাঠাতে হবে।
গত ৯ জুন কিউএস বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বৈশ্বিক এ র্যাংকিংয়ে ৮০০-এর মধ্যে নেই। এছাড়া শুধু লন্ডনভিত্তিক শিক্ষাবিষয়ক সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশনে’ প্রকাশিত প্রতিবছর বিশ্বের বিশ্ব্যবিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিংয়ে দেশের প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান এক হাজারেরও পরে।
বাজেটের স্বল্পতা, গবেষণায় পর্যাপ্ত বরাদ্দের অভাব, শিক্ষক নিয়োগের স্বজনপ্রীতি-দুর্নীতি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধের অভাব এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন ও উচ্চতর জ্ঞান সৃষ্টির প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যা কিছু প্রয়োজন সেসবের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে না পারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বসেরাদের তালিকায় পিছিয়ে রাখার মূল কারণ বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব সূচকে র্যাংকিং করে সে সূচকে আমাদের ঘাটতি রয়েছে। আমরা শিঘ্রই সেই ঘাটতি মিটানোর চেষ্টা করছি। এরমধ্যে শিক্ষার পরিবেশ, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও তাদের গবেষণা সামগ্রী অন্যতম। এসব নানাবিধ সূচকে একসঙ্গে এগিয়ে না আসতে পারলে র্যাংকিংয়ে ভালো করা কষ্টকর। এই সূচকগুলোতে উন্নতি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে অবস্থানের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হয়।