নিয়োগের দিনই রাবি প্রো-ভিসির পদত্যাগ দাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্যের পদে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক সুলতান উল ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী উল্লেখ করে তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্যের শেষ কর্মদিবসে এডহকে নিয়োগপ্রাপ্তরা এই দাবি করেন। আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে দাবিটি জানানো হয়।
এর আগে সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সুলতান উল ইসলামকে চার বছরের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের শেষ কর্মদিবসে নিয়োগপ্রাপ্তদের একাংশ তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক এর সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধন থেকে তারা সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, অধ্যাপক সুলতান উল ইসলামের অনেক আত্মীয় বিএনপি-জামাতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তার আপন বড় ভাই প্রয়াত অধ্যাপক ড. সোলাইমান আলী সরকার ১৯৭১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের দায়িত্বে ছিলেন। তার নির্দেশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের নিরীহ মানুষদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হলে পাক হানাদার বাহিনী নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করত।
মানববন্ধনে রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিয়োগপ্রাপ্ত রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারদীন, নির্মূল কমিটির রাবি শাখার সাবেক সভাপতি মতিউর মর্তুজা, মহানগর যুবলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এসকে আরকার বাপ্পী প্রমুখ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, আজকে যারা আন্দোলন করছে তারা অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের শেষ দিনে অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। আমি অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছি। সুতরাং এটি স্পষ্ট তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। যারা বলছেন আমার ভাই রাজাকার ছিল তাদের প্রমাণ করতে বলুন। তারাই প্রমাণ করুক।