চবিতে গেট না খোলায় নিরাপত্তা প্রহরীকে বেধড়ক পিটুনি ছাত্রলীগের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ফটকের গেট না খোলায় দায়িত্বরত এক গার্ডকে (নিরাপত্তা প্রহরী) বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুমন নাছির, সাদাফ খানসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে। আজ রবিবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নং গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত গার্ডকে উদ্ধার করে চবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ওই নিরাপত্তা প্রহরীর নাম মো. শাহাদাত হোসেন। সে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ রাখা হয়। আজ (রবিবার) সন্ধ্যায় ১০-১২ জন ছেলে এসে ফটক খুলতে বললে আমি না করি। পরে ওরা গেট খোলার জন্য চাপ দেয়, এক পর্যায়ে ওরা আমাকে কিল-ঘুষি দিতে থাকে। বর্তমানে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছি। বুকে প্রচুর ব্যথা হচ্ছে, মাথায় আঘাতের ফলে মাথা ঘুরাচ্ছে।
চবি মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তার ডা. আতাউল গণি বলেন, ভিক্টিম মাথায় ও বুকে আঘাত পেয়েছে। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ২৪ ঘন্টা অবজারভেশনে রেখেছি। কয়েকটি টেস্ট দিয়েছি। রিপোর্ট পেলে জানা যাবে আঘাত গুরুতর কিনা।
চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ বাচ্চু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, আমরা রাতে করোনা পরিস্থিতিতেও দায়িত্ব পালন করছি। এর মধ্যে ছাত্রলীগ এসে আমাদের মারধর করবে, এটা তো হয় না। এই ঘটনার সুনিশ্চিত বিচার হতে হবে। নাহলে আমি নিরাপত্তা প্রহরীদের ডিউটি বন্ধ করে দেবো।
অভিযুক্ত চবি ছাত্রলীগ নেতা সুমন নাছির বলেন, চাবি আছে কিনা জানতে চাইলে সে বলে নেই। তখন আমরা বলি, আচ্ছা ঠিক আছে। পরে ছাত্রলীগকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করলে আমি গিয়ে জানতে চাই, সে কেন এটা বললো। একটু তর্কাতর্কি হলে সঙ্গে থাকা এক ছোটভাই বললো, সে (নিরাপত্তা প্রহরী) নাকি সাইকো টাইপের লোক।
এ বিষয়ে চবির প্রক্টর রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।