প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বর্ণিল সাজে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আলোকসজ্জায় বাহারি রঙের সেজেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস। আগামীকাল মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজশাহী ক্যাম্পাসের এই সাজ।
প্রতি বছর এই দিনটি নানা আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপন করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আনন্দ শোভাযাত্রা, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উদযাপন করা হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে এবার থাকছে না জমকালো কোনো আয়োজন। সীমিত পরিসরে দিনটি উদযাপন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন ছাড়াও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন আলোকসজ্জিত করা হয়েছে। সে রঙিন আলোয় আলো ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। ক্যাম্পাসে উৎসব মূখর পরিবেশ সৃষ্টি হলেও নেই শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর সূত্রে জানা যায়, ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় থাকছে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি। বেলা ১১টায় থাকছে গৌরবের ৬৮ বছর অনলাইন আলোচনা সভা। সভায় প্রধান আলোচক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা এবং সভাপতিত্ব করবেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া। অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থী শাম্মী আক্তার মিম বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে শোভাযাত্রা আর আনন্দ উল্লাস করে প্রতিবছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করলেও এবার তা হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের জীবনে কতটা ভালবাসার অংশ, তা অন্যবারের তুলনায় এবার বেশি উপলদ্ধি করছি। সরাসারি উপস্থিত থাকতে না পারলেও অনলাইনে অংশগ্রহণ করে একটু হয়তো প্রশান্তি পাওয়া যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের জীবন ছিলো কত ছন্দময় তা উপলদ্ধি করতে পারছি বাড়ি বসে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মৌ সাহা বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন একটি বিশেষ দিনে শিক্ষার্থীরা কেউই ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকতে পারছে না। প্রাণের ক্যাম্পাসের বিশেষ দিনে ক্যাম্পাসের উপস্থিত থাকতে না পারাটা বড়ই দুর্ভাগ্যের বটে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ উপভোগ করাতে যেমন আনন্দ তা কখনোই বাড়িতে বসে অনুভব করা সম্ভব নয়। তবুও জন্মদিনে চাইবো প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয় হাজার বছর মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকুক। সমৃদ্ধ করুক আমাদের ভবিষ্যতকে।