১৫ জুলাই থেকে রাবি শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছানো শুরু
দেশের চলমান কঠোর লকডাউনে আটকে থাকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। আজ সোমবার (৫ জুলাই) সকালে আয়োজিত এক সভায় শিক্ষার্থীদের আগামী ১৫-১৬ জুলাইয়ের দিকে নিজ নিজ জেলায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসে এখানে আটকে পড়েছেন। আবার অনেকেই এখানে পরীক্ষা না থাকলেও পড়াশোনার জন্য এসেছেন। চলমান লকডাউনের কারণে তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না।
“এই লকডাউন কবে উঠবে তা আমরা বলতে পারছি না। সে কারণে আমরা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ জেলায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে তাদেরকে পৌঁছে দেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, আমরা একটু সময় নিয়ে তাদেরকে পৌঁছে দিতে চাই। কারণ তারা যতদিন এখানে থাকছে, এখানে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে। বাড়িতে গেলেই তাদের পড়াশোনা কমে যাবে। তাই ঈদের কিছুদিন আগে ১৫-১৬ তারিখের দিকে তাদেরকে পৌঁছে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক আজিজুর রহমান জানান, কোন জেলায় কতজন শিক্ষার্থী যাবে সেই তালিকা আমাদের কাছে নেই। তালিকা সংগ্রহের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে একটি অনলাইন লিংক দিয়েছি। সেই লিংকে শিক্ষার্থীরা তাদের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিজ নিজ জেলার নাম সাবমিট করতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের এই জেলার তালিকা পাওয়ার পর আমরা বাসের রুট ঠিক করব।
তিনি আরও জানান, কোনও জেলায় ১০ জনের বেশি শিক্ষার্থী হলে সেই জেলায় আমরা বাস দেওয়ার চেষ্টা করব। সোমবার থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীদের জেলার তালিকা সাবমিট করার লিংক দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ তারিখ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের তথ্য সেখানে সাবমিট করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক মোকছেদুল হক জানান, ৯ তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দেখে আমরা পরবর্তীতে কোন রুটে কতটি বাস পাঠাবো সেই সিদ্ধান্ত নেব। যদি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হয়, তবে একদিনে হয়তো সব রুটে বাস পাঠানো সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে আমরা দুই/তিন দিন সময় নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠানোর ব্যবস্থা করব।
প্রসঙ্গত, করোনায় বিভিন্ন বিভাগের আটকে পড়া পরীক্ষাগুলো নিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিলে বিভিন্ন জেলা থেকে রাজশাহী আসতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তবে হঠাৎ করোনার বিরূপ প্রভাব বিস্তার শুরু হলে একদিকে বাড়তে থাকে লকডাউন, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে পরীক্ষার তারিখ পিছাতে বাধ্য হয় সংশ্লিষ্টরা। ফলে আটকা পড়ে পরীক্ষা দিতে আসা অনেক শিক্ষার্থী।