পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভার্চুয়াল সমাবর্তন যেমন ছিল (ভিডিও)

৫৩তম গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান অনলাইনে আয়োজন করে আইবিএ
৫৩তম গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান অনলাইনে আয়োজন করে আইবিএ  © সংগৃহীত

দেশের তৃতীয় এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রথম ভার্চুয়াল সমাবর্তনের (গ্রাজুয়েশন সিরিমনি) আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ)। গত ২৬ জুন অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে ইনস্টিটিউটের বিবিএ, এমবিএ ও ইএমবিএর তিনশরও বেশি শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়।

তথ্যমতে, মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ১৫ মাস যাবত বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রথাগত সমাবর্তন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার গ্রাজুয়েট। আর মূল সনদপত্রের পরিবর্তে সাময়িক সনদপত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হয়েছে তাদের।

তবে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রথমবারের মতো বিকল্প সমাবর্তনের আয়োজন করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ (এনএসইউ)। গত ৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৩তম সমাবর্তন ভাচুর্য়াল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গত ১৯ জুন দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ভাচুর্য়াল সমাবর্তনের আয়োজন করে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। বিশ্ববিদ্যালয়টির চতুর্থ সমাবর্তনে মোট ১ হাজার ৪৬৪ জনকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

এরপর ২৬ জুন ৫৩তম গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান অনলাইনে আয়োজন করে আইবিএ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আইবিএর সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ারের সভাপতিত্বে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েশন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিবিএ’র প্রোগ্রাম কো-অডির্নেটর ড. রেজওয়ানুল হক খান এবং আইবিএ ক্যারিয়ার সেন্টারের কো-অডির্নেটর মো. ইফতেখারুল আমিন।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান আইবিএ গ্র্যাজুয়েটদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আইবিএর শিক্ষার্থীরা মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে সুনাগরিক হিসেবে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সেই প্রত্যাশা করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে এই ইনস্টিটিউটের গ্র্যাজুয়েটবৃন্দ স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখবেন বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি ইনস্টিটিউটের মধ্যে আইবিএ একটি। বাকি ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতকের শিক্ষার্থী ভর্তি করালেও আইবিএতে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে থাকে। তাছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানও আলাদাভাবে আয়োজন করে আইবিএ কর্তৃপক্ষ।


সর্বশেষ সংবাদ