যে সব নিয়ম মেনে হবে ঢাবির অনলাইন পরীক্ষা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২১, ০১:০৬ PM , আপডেট: ২৫ জুন ২০২১, ০২:১৮ PM
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গত ১ জুন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে ৬ মে অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা আয়োজনের এই পদ্ধতির অনুমোদন দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হবে সে বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের কাছ থেকে মতামত চেয়েছিল অনলাইন পরীক্ষা কমিটি। বিভিন্ন অনুষদ ও ইনস্টিটিউট থেকে প্রাপ্ত সুপারিশের আলোকে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন বিষয়ে একটি সমন্বিত নির্দেশিকা তৈরি করেছে কমিটি।
জানা গেছে, নির্দেশিকায় পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে অনলাইন প্লাটফরম প্রস্তুতের বিষয়টি। পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রতি সেমিস্টার বা বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য গুগল ক্লাসরুম খোলার কথা বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩দিন আগে গুগল ক্লাসরুমে যোগদান করবে।
প্রতিটি পরীক্ষার জন্য আলাদা অ্যাসাইনমেন্ট খোলা হবে। অ্যাসাইনমেন্টে নির্ধারিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংযুক্ত থাকবে যা পরীক্ষার ৫ মিনিট পূর্বে গুগল ক্লাসরুমে প্রকাশ করা হবে। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করতে পারবে। প্রত্যবেক্ষণের জন্য অনলাইন মিটিং প্লাটফর্ম জুম ব্যবহার করতে হবে।
পরীক্ষার সময় ও নম্বর প্রচলিত সময় ও নম্বরের অর্ধেক হবে। তবে নম্বর ফলাফল তৈরির সময় পূর্ণ নম্বরে রূপান্তরিত করতে হবে। তবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা প্রতি ঘণ্টার জন্য অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় বেশি পাবে।
প্রশ্নপত্র হবে প্রচলিত পদ্ধতির (বর্ণনামূলক, এমসিকিউ ও সংক্ষিপ্ত)। তবে বিভাগের একাডেমিক কমিটি চাইলে তা পরিবর্তন করতে পারবে। তবে পরীক্ষা শুরু এক সম্পাত আগেই প্রশ্নপত্রের ধরণ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করতে হবে। এছাড়া প্রচলিত পদ্ধতিতেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মডারেশন করতে হবে।
পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট পূর্বেই শিক্ষার্থীদের জুমে জয়েন করতে হবে। এক্ষেত্রে নামের পরিবর্তে শুধু পরীক্ষার রোল নম্বর ব্যবহার করত হবে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার্থীদের ভিডিও সচল রাখতে হবে। উত্তরপত্রের কাভার এডিটেবল সফটকপি পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে একদিন আগে পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করতে হবে।
পরীক্ষার শুরুর দিন পরীক্ষা কমিটির কমপক্ষে একজন সদস্যকে বিভাগ বা ইন্সটিটিউটে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। এছাড়া প্রধান প্রত্যবেক্ষককেও সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। একজন প্রত্যবেক্ষক অনলাইনে জুমে যুক্ত হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ জন পরীক্ষার্থীকে প্রত্যবেক্ষণ করবে।
পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা তাদের উত্তরপত্র স্ক্যান করে বা ছবি তুলে একটি সিঙ্গেল পিডিএফ ফাইলে গুগল ক্লাসরুমের অ্যাসাইনমেন্টে (যেখানে প্রশ্ন দেয়া হবে) ১০ থেকে ৩০ মিনিটের (পূর্বনির্ধারিত সময়) মধ্যে জমা দিবে।
পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা জুম প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইনে নেওয়া যাবে। ব্যবহারিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর সশরীরে অংশগ্রহণ আবশ্যক না হলে অনলাইনে ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চলমান সব পরীক্ষা অনলাইনে নেয়া হবে। এ বিষয়ে অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।